পাবনার ঈশ্বরদীতে একটি কোচিং সেন্টারে ছেলের জন্য শিক্ষক খুঁজতে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ করেছেন এক নারী। ওই নারীর দায়ের করা মামলায় বৃহস্পতিবার রাতে কোচিং সেন্টারের পরিচালক নাহিয়ান ইসলামকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী ওই নারী (২৪) জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলা সদরের শেরশাহ সড়কের অ্যাম্বিশন কোরিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ কোচিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনি গতরাতে ঈশ্বরদী থানায় নাহিয়ান ইসলামসহ অজ্ঞাত দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। নাহিয়ান উপজেলা সদরের পূর্ব টেংরি ঈদগাহ এলাকার বাসিন্দা।
মামলার জবানবন্দি ও ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই নারী তার ছেলেকে প্রাইভেট পড়ানোর জন্য একজন শিক্ষক খুঁজছিলেন। তিনি কোচিং সেন্টারের মালিক নাহিয়ান ইসলামকে শিক্ষক খুঁজতে বলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাহিয়ান তাকে ওই শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলার জন্য কোচিং সেন্টারে ডাকেন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কোচিং সেন্টারে যান তিনি। এ সময় তিনি নাহিয়ান ও অপর দুই অপরিচিত ব্যক্তিকে একটি ঘরে বসে থাকতে দেখেন।
ভুক্তভোগী নারীর ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি কোচিং সেন্টারে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে নাহিয়ান দরজা বন্ধ করে দেন। এরপর তিনজন মিলে ধর্ষণ করেন। পরে বিষয়টি কাউকে বলতে নিষেধ করে কোচিং সেন্টার থেকে তাঁকে বের করে দেন। তিনি বাড়ি ফিরে পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানান। প্রথমে লোকলজ্জার ভয়ে পরিবার চুপ ছিল। পরে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আলোচনা করে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারী তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থানায় এসে মামলা করেন। পরে রাতেই অভিযুক্ত নাহিয়ান ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি দুজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, ওই নারীকে রাতেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।