ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ গনতন্ত্র ধ্বংস করে একনায়কতন্ত্র শাসন কায়েক করেছে। দেশের মানুষ তাদের স্বাধীন মত প্রকাশ করতে পারছে না। নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে বিনা ভোটে ক্ষমতা বসে আছে তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে গু/ম হয়ে যাচ্ছে। তারা আবারও বিনা ভোটে নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে চায় বলে জানান এলডিপি সভাপতি ড. কর্নেল আলী আহমেদ। রাজনীতিবিদদের মনুষ্যত্ব নেই বলে মন্তব্য করে এ প্রসঙ্গে যা বললেন এলডিপি সভাপতি ড. কর্নেল আলী আহমেদ।
দেশে রাজনীতিবিদদের কোনো মনুষ্যত্ব নেই বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল অলি আহমদ। তিনি বলেছেন, রাজনীতিবিদেরা নিজের ধর্মে বিশ্বাস করে না। মানুষের প্রতি তাদের যে দায়িত্ববোধ সেটি তারা পালন করছেন না। মিথ্যা কথা বলা তাদের নিত্যদিনের ঘটনা।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে এলডিপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশ আক্ষরিক অর্থে স্বাধীন হলেও বাস্তবে স্বাধীন দেশ নয়। পাআমরা পাকিস্তান আমলের চেয়েও খারাপ অবস্থায় আছি। স্বাধীনতার পর আমরা সবচেয়ে খারাপ ও সংকটময় মুহূর্তে আছি।
অলি বলেন, ২০০৯ সালের পর থেকে সরকার মানুষের মত প্রকাশের অধিকার ও মৌলিক অধিকার নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছে। শেখ মুজিব বাকশাল কায়েম করেছে সংসদে বসে আর বর্তমান সরকার কোথাও না বসে বাকশাল কায়েম করেছে। আজকে পুলিশের অনুমতি ছাড়া কোনো প্রোগ্রাম করা যায় না। পুলিশ যেভাবে বলে সেভাবে চলতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, চীন ভারত থেকে যে লোন নেওয়া হয়েছে তা পরিশোধ করা দেশের পক্ষে সম্ভব হবে না। কারণ উচ্চ সুদে ঋণ নেওয়া হয়েছে। রাজনীতি সঠিক পথে নেই বিধায় অর্থনীতিও সঠিকভাবে পথে নেই। দেশে এখন কেয়ারটেকার সরকার দিলেও কোনো রাজনৈতিক দল সঠিকভাবে জিতে আসতে পারবে না। কারণ জায়গা মতো মাস্তানরা বসে আছে। আর চোরের বাক্স হলো ইভিএম
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার মানুষের পেটে লাথি মেরেছে। টেলিভিশনে মিথ্যা কথা বলা ছাড়া সরকারি দলের কেউ সত্যি কথা বলে না। বিপদে না পড়লে তারা সত্য কথা বলে না। এই সরকারকে হটাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আমরা আমাদের অধিকার চাই। আমি ন্যায়বিচার ও সুশাসন চাই। আমার ভোট আমি দিতে চাই।
অলি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারতে গিয়ে আদানির সঙ্গে কয়েকটা চুক্তি করে এলেন এটা দিয়ে নাকি কয়েকটা পদ্মা সেতু এবং কয়েকটা ট্যানেল বানানো যাবে। তাহলে আদানিকে কি দিয়ে আসলেন? আদানির কাছে দেশ বিক্রি করে দিয়েছেন।
বৈঠকে এলডিপি মহাসচিব মো. রেদওয়ান আহমেদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, জাগপার সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধানসহ এলডিপি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, সরকার দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে কিন্তু মুখে মুখে গনতন্ত্রের বুলি শুনাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন এলডিপি সভাপতি ড. কর্নেল আলী আহমেদ। তিনি আরোও বলেন, এ সরকারে অধীনে নির্বাচনে গেলে কখনো জয় পাওয়া সম্ভব না।