Friday , November 15 2024
Breaking News
Home / Countrywide / কেমন হতে চলেছে বিএনপির ভবিষ্যৎ কর্মসূচি

কেমন হতে চলেছে বিএনপির ভবিষ্যৎ কর্মসূচি

নির্বাচনের আগে বিএনপি ধারাবাহিকভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২২ সালের আগস্টে ধারাবাহিক কর্মসূচি শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে বিক্ষোভ, মানববন্ধন, বিভাগীয় সমাবেশ। এরপর আসে রোডমার্চ। নির্বাচনের আগের দুই মাসে কখনো হরতাল, কখনো অবরোধ। কখনো হরতাল-অবরোধ উভয়ই। তবে নির্বাচনের পর নতুন কোনো বড় কর্মসূচি নেই বিএনপির।

তবে ‘ভোট বয়কট’ করায় কয়েকটি এলাকায় ফুল দিয়ে সাধারণ মানুষকে ‘অভিনন্দন’ জানিয়েছেন দলটির নেতারা।

যদিও দলের অধিকাংশ নেতা-কর্মী আত্মগোপনে রয়েছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় দলের সমাবেশকে ঘিরে সহিংসতার পর থেকে এ অবস্থা। যার রেশ আছে নির্বাচনের পরও। বিশেষ করে মামলা এবং গ্রেফতার আতঙ্কে এলাকায় ফিরছেন না অনেকেই।

এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে আন্দোলন কর্মসূচি শুরুর কথা বলছে বিএনপি। কিন্তু নির্বাচনের পর মাঠ পর্যায়ে দলটির সাংগঠনিক সক্ষমতা আছে কি?

নির্বাচনের পর নতুন কোনো কর্মসূচি দেয়নি বিএনপি। কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে যত বেশি সম্ভব নেতা-কর্মীকে জামিনে মুক্ত করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে নির্বাচনী বছরে দলটি দফায় দফায় সমাবেশ, মানববন্ধন, রোডমার্চ করে। শেষ পর্যায়ে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচিও পালন করা হয়। সে সময় সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে না”শকতা, অগ্নিসং”যোগ ও ভাংচুরের জন্য বিএনপিকে দায়ী করা হলেও বিএনপি তা অস্বীকার করে।

কিন্তু ঘটনা যাই ঘটুক না কেন, বিএনপির এসব কর্মসূচির দাবি পূরণ হয়নি, সরকারের পতন হয়নি। নির্বাচনের পরও এখন নতুন সরকার দেশ চালাচ্ছে।

তবে বিএনপি কী ধরনের কর্মসূচিতে যাবে তা নিয়ে এখন দলের ভেতরে ও সমমনা দলগুলোর মধ্যে চলছে নানা আলোচনা।

হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে দাবি আদায় করা সম্ভব না হওয়ায় এ ধরনের কর্মসূচিতে গিয়ে নতুন করে মামলা ও ‘দমন-পীড়নের’ পরিস্থিতির মধ্যে না যাওয়ার বিষয়েও দলের মধ্যে আলোচনা চলছে।

তবে শেষ পর্যন্ত দলের কৌশল কী হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

তবে কৌশল যাই হোক না কেন, বর্তমান বাস্তবতার প্রতিফলন থাকবে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

তিনি বলেন, জনগণ হয়তো আশা করেছিল এই সরকার চলে যাবে। কিন্তু বিদায় তো নেয়নি। কিন্তু এটাও ঠিক একটা স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় দেয়া এটা তো সহজ কোন সংগ্রাম নয়। এটা কঠিন। এবং অনেক সময় দীর্ঘ সময় লাগে। বিএনপি সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলনের একটা পর্যায় ছিলো। এখন আমরা একটা নতুন পর্যায়ে যাবো। আমরা সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা-বিশ্লেষণ করছি। অবাস্তব বা কল্পিত চিন্তার মাধ্যমে আন্দোলনকে পরিচালিত না করে এখনকার বাস্তবতাকে নিয়েই আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা হবে।

বিএনপি বলছে, এই মুহূর্তে দল ও তার নেতা-কর্মীদের আন্দোলন করার কোনো বিকল্প নেই। আর সেই আন্দোলনের প্রস্তুতি চলছে।

তবে বিএনপির আন্দোলন কতদূর অগ্রসর হবে তা নির্ভর করবে মামলার কারণে যাদের নিয়ে বিএনপির আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত সেই নেতা-কর্মীরা কতটা শক্তিশালী হতে পারবেন।

 

About bisso Jit

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *