বাংলাদেশ সরকারের নতুন রাষ্ট্রপতি কে হতে যাচ্ছেন সেটা নিয়ে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটতে চলেছে। এই পদে সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ পদ পাওয়া আ.লীগের মনোনয়ন পাওয়া ব্যক্তিই হবেন নতুন রাষ্ট্রপতি। দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতির নামও এক কথায় চূড়ান্ত করা হয়েছে, এখন শুধু ঘোষনার অপেক্ষা। রাষ্ট্রপতি পদটিতে মনোনয়ন পেয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় চুপ্পুই দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি।
দলীয় প্রার্থী হিসেবে তার নাম চূড়ান্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। রোববার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
সাহাবুদ্দিনের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি মাঠেই রাজনীতি করতেন। তিনি ছাত্রলীগের জেলার শাখার সভাপতি ছিলেন, তিনি যুবলীগের জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন এবং তিনি বঙ্গবন্ধুর হ”/ত্যার প্রতি”বাদ করতে গিয়ে ২০ আগস্ট গ্রে’ফতার হয়েছিলেন, তিন বছরের বেশি কারাগারে ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৭১ সালে পাবনা জেলায় স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রয়ানের ঘটনার পর কারারু”দ্ধ হন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৮২ সালে বিসিএস (জুডিশিয়াল) বিভাগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি বঙ্গবন্ধু হ”/ত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন।
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন এবং সংখ্যাল”ঘু সম্প্র”দায়ের মানুষের ওপর যে অমানবিক ঘটনা ঘটে সেটা তদন্তে পরবর্তীতে গঠিত কমিশনের প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তিনি ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
তিনি ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের প্রয়ানের কারণে শূন্য হওয়া প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান পদে মনোনীত হন।