Thursday , December 26 2024
Breaking News
Home / opinion / কেন সাবরিনার ফিগার দেখে গরম গরম ঢোক গিলছেন : মিলি

কেন সাবরিনার ফিগার দেখে গরম গরম ঢোক গিলছেন : মিলি

সম্প্রতি আবারও আলোচনায় এসেছে সেই ডাঃ ডাক্তার সাবরিনা।যার নাম শুনলে মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়া রোগের সময় তার জঘন্য কর্মকাণ্ডের কথা মানুষ আজও ভুলেনি যার কারণের তার নামটি মানুষের সামনে আসলে ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখিকা মিলি সুলতানা হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।

ডাক্তার সাবরিনা একুশের বইমেলায় তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ “বন্দিনী” নিয়ে এসেছেন। এখানে মন্দ ব্যাপার কি হল আমি বুঝতে পারছিনা। কেন তাকে ট্রোলের শিকার হতে হচ্ছে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করছি। ফেসবুকে যারা নিজের আজাইয়া বক্তব্যের ভিডিও বানিয়ে ফেসবুক সয়লাব করে দিচ্ছে তাদের দু’চারজনের বক্তব্য দেখে বুঝলাম তারা ডাক্তার সাবরিনার প্রতি অদ্ভুত জিঘাংসা মিটাচ্ছে। এসব হিংসুটে বাচাল ব্যক্তিদের আরোপিত মন্তব্য শুনে মনে হল, কার্ডিওলজিস্ট সাবরিনাকে সামনে পেলে প্রতিহিংসা নিংড়ে নিতেন তারা। এসব বাচাল আহাম্মকদের এইম ইন লাইফ হচ্ছে সাবরিনাকে তুলোধুনো করা। একটা কথা আমি বার বার বলেছি এখনো বলছি–করোনা মহামারীর সময় ডাক্তার সাবরিনা ক্ষমার অযোগ্য বিশাল ক্রাইমে অংশ নিয়েছিলেন তার প্রাক্তন স্বামী আরিফ চৌধুরীর সঙ্গে মিলিতভাবে। সেই অপরাধের সাজা তিনি ভোগ করেছেন। তিনি যদি তার মা বাবাকে প্রাধান্য দিয়ে সুস্থ জীবন যাপন করতে চান সেটা কি তার অপরাধ? সাবরিনা যদি তার কারাজীবনের অভিজ্ঞতাগুলো লিখেন সেটাও কি তার অপরাধ? কারাগারে তিনি কোনো সমকামী বন্দীর “ব্যাড টাচ” পেয়েছিলেন। এই মন্তব্যের জন্য তাকে প্রতীকী দোররা মারতে উদ্যত বেশকিছু সামাজিক ক্রিমিনাল। সাবরিনা গে/ লেসবিয়ান নিয়ে যদি কিছু উল্লেখ করে থাকেন আপনাদেরকে সেটা পড়তে বলেছে কেউ? আপনাদের আরোপিত অভিযোগের কাঠগড়ায় কেন তাকে জোরজবরদস্তি করে দাঁড় করাচ্ছেন? সাবরিনার কথাবার্তায় যদি আপনার ঘৃণা কিলবিল কিলবিল করে তাকে ইগনোর করেন। আপনি কেন ফেসবুকে চুপিচুপি তাকে স্টক করছেন? আপনি তো বনেদি পুরুষ!! আপনি কেন তার লাল টকটকে লিপস্টিক মাখা ঠোঁট দেখছেন? কেন তার ডাবল নাকের বালির ছবি দেখছেন? আপনি কেন তার ফর্সা ফিগার দেখে গরম গরম ঢোক গিলছেন আর ফ্যান্টাসিতে ******ছেন?? আপনি তো সুচরিত্রবান পুরুষ।

আর একটা কথা ক্লিয়ার করা দরকার, সাবরিনা কেঁদে কেঁদে তার বই বিক্রি করছেন না। ইনফ্যাক্ট বই বিক্রির জন্য তার ফ্যাচকাঁদুনি হবার প্রয়োজন নেই। বন্ধু স্বজনদের কাছে পেয়ে তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে কেঁদে ফেলেছেন। এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার নয় কি?? হাজতবাসের বিভীষিকাময় জীবনের স্মৃতি তার মনে কি উঁকি দিতে পারেনা? নাকি তাকে ফের চোখের পানি ফেলবার আগে আমজনতার বরাবরে দরখাস্ত পেশ করতে হবে?? তার বন্ধু বান্ধব শুভাকাঙ্ক্ষীরা যদি একটা করে বইয়ের কপি সংগ্রহ করেন, তাতে সাবরিনার বইয়ের প্রথম সংকলন নিমিষে শেষ হয়ে যাবে। দেশে থাকলে আমিও বই কিনতাম আর বন্ধু বান্ধবদের উপহার দিতাম। যারা কার্ডিওলজিস্ট সাবরিনার সঙ্গে বদের হাড্ডি সিনথিয়া তিশার তুলনা করছে তারা গবেট মূর্খ। বিকৃতরুচির পরিচয় ইতিমধ্যে দিয়ে ফেলেছে অসভ্য পুঁচকে মেয়েটি। “খন্দকার মুশতাক” নামটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে জঘন্য ও ঘৃণিত একটি নাম হয়ে থাকবে। এই ঘৃণিত নামটি মুখে উচ্চারণ করা তো দূরের কথা। এই নাম লিখতেও আমার ঘৃণা হচ্ছে। খন্দকার মুশতাক -তিশার অসভ্যতার সাথে ডাক্তার সাবরিনার নাম জুড়ে দেয়াও এক ধরনের অসভ্যতা, মূর্খতা।

About Babu

Check Also

আগামীকাল ঢাকায় বড় কিছু ঘটানোর পরিকল্পনা, আপাতত যানবাহন তল্লাসি করুন: ইলিয়াস হোসেন

আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার উদ্দেশ্যে কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন, যারা সংখ্যালঘু হিন্দুদের মধ্যে রয়েছে, পরিকল্পিতভাবে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *