আলোচিত পদ্মা সেতু তৈরী নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। তবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সাহসি উদ্যোগে নিজেস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রকল্প। পদ্মা সেতুর কাজ প্রায় শেষের দিকে। চলতি মাসেই পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এ মাসেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন পদ্মা সেতু। এবার পদ্মা সেতুর খরচ নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উপকরণ দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে সম্পূর্ণ নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। যার কারণে খরচও বেড়েছে। এই দোতলা সেতুর মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।
বুধবার (২২ জুন) সকাল ১১টায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ব্যয় বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালের মধ্যে নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছিল। পরের বছরের জানুয়ারিতে সংশোধিত ডিপিপি দাঁড়ায় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। সেতুর দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার করার কারণে ব্যয় বাড়েয়। এরপর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ৩৭টি স্প্যান নৌচলাচলের জন্য সুযোগ রাখা হয়েছে।
রেল সংযোগ যোগ করা হয়। কংক্রিটের পরিবর্তে ইস্পাত অবকাঠামো যোগ করা হয়। পাইলিংয়ের ক্ষেত্রেও গভীরতা বাড়ে। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের খরচ বাড়ায়। ২০১৭ সাল থেকে সরকার জমি অধিগ্রহণে জমির দামের তিনগুণ অর্থ দেওয়া শুরু করে। ২০১৬ সালে সেতুর খরচ আবার বাড়ে। এ সময় ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ৯ টাকা।
নদী শাসনে নতুন করে এক দশমিক তিন কিলোমিটার যুক্ত হয়। সব মিলিয়ে ব্যয় বেড়েছে আট হাজার কোটি টাকা। সেনাবাহিনী নিরাপত্তায় নিয়োজিত করা হয়। সব মিলিয়ে পদ্মা সেতুর প্রকল্প ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ২১ জুন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৭ হাজার ৭৩২ কোটি ৮ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হবে। ওইদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়ায় উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন এবং শুভ সমাবেশে যোগ দেবেন। তারপর টোল দিয়ে সেতু পার হবেন। জাজিরায় আবারও ফলক উন্মোচন করবেন তিনি। এরপর বিকেলে মাদারীপুরের শিবচরে জনসভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতুর ব্যয় বৃদ্ধি হওয়ার কারন সম্পর্কে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু তৈরীতে সর্বোচ্চ মান বজায় রাখা হয়েছে। এজন্য পদ্মা সেতুর মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই।