বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে দেশের মধ্যে এক অস্তিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। সরকাদলীয় নেতাকর্মীরা এবং বিএনপি দলের নেতাকর্মীরা একে অন্যের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে। এবং প্রায় সময় বেগম জিয়াকে নিয়ে নানা ধরনের কথা-বার্তায় মেতে উঠছে তারা। সম্প্রতি আওয়ামীলীগ দলের বেশ কয়েক জন নেতাকে উদ্দেশ্যে করে কিছু কথা তুলে ধরলেন বিএনপি দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেকেই আইন মনে করেন। তিনি যা বলছেন তাই আইন। তিনি চাইলে যত বড় নেতা হোক না কেন তাকে শাস্তি পেতে হবে। যদি সে ভালো মানুষও হয়, তারপরও প্রধানমন্ত্রী চাইলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব) আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সম্রাটের মতো, সুলতানার মতো দেশ চালাচ্ছেন। আর তার মন্ত্রীরা আমিরের মতো চলেন। প্রধানমন্ত্রী যা বলেন, তার আমির-উমরারা একই বুলি আওড়াতে থাকেন। তিনি যতটুকু বলেন, তার মন্ত্রীরা আরও বাড়িয়ে বলেন।
বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার থেমে থেমে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আর তারা বলছে দেশের মধ্যে চিকিৎসা সম্ভব। তাহলে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা কেন সিঙ্গাপুরে হলো? কেন চার্টার্ড বিমান ভাড়া করা হলো? এ ধরনের দ্বিচারিতার জন্য আপনাকে একদিন জবাব দিতে হবে। আইনমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এ দেশে বিচার বিভাগ কোথায় স্বাধীন? তারেক রহমানকে একজন বিচারক খালাস দেওয়ার কারণে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। তিনি তো বিচার বিশ্লেষণ করে নিরপেক্ষ রায় দিয়েছিলেন। সাবেক প্রধান বিচারপতিকে পি/স্ত/ল ঠেকিয়ে কেন দেশ ছাড়া করলেন? এটা কোন আইন? কোন আইনি প্রক্রিয়ার কথা বলছেন আপনারা? দেশের আইনে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য বাধা নেই। এ আইনের বাধা একজনই, সেটা হলো শেখ হাসিনা।
শারীরিক ভাবে বেগম জিয়া গুরুত্ব অসুস্থ থাকায় তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার লক্ষ্যে সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে বিএনপি দলের নেতাকর্মীরা শুধু তাই নয় বেগম জিয়ার পরিবার থেকেও সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন মহলের বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার মানুষ বেমগ জিয়ার চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে দাবি তুলেছে।