সুষ্ঠু নির্বাচন কেন্দ্রে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি আ.লীগ প্রার্থীর। এমনই অভিযোগ মিলেছে একটি কেন্দ্রে। ঐ এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল হাসেম নৌকা মার্কা আবং প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী আনারস প্রতীকের মধ্যে চলছিল উত্তেজনা। নৌকার প্রতিকে সিল মারার চেষ্টার অভিযোগ মিলেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বরতমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসেমের বিরুদ্ধে।
আজ রবিবার সকাল ৯টার দিকে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের নলুয়া চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের আবদুর রাজ্জাকের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তখন পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই প্রার্থীকে কেন্দ্রে থেকে চলে যেতে বলেন। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ওই কেন্দ্রের দায়িত্বরত পুলিশের এএসআই মো. শেখ ফরিদ বলেন, নৌকার প্রার্থী আবুল হাশেম কেন্দ্রে ঢুকেই বলেন, নৌকার ভোট ওপেন হবে। তখন আমরা তাকে বলেছি নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে এসেছি। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করবোই। এখানে এমন কিছু হতে দেওয়া হবে না। এরপর আমরা দুই প্রার্থীকেই কেন্দ্র থেকে চলে যেতে বলি।
ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, এই কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ২৮০২ জন। মোট ৬টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। এখানে নৌকা প্রতীকের এজেন্ট থাকলেও আনারস প্রতীকের কোনো এজেন্ট আসেননি। কিন্তু কেন আসেননি তা আমি বলতে পারছি না। সকাল ৯টার দিকে কেন্দ্রে নৌকা ও আনারস প্রতীকের প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহোযোগিতায় দুই প্রার্থীকেই কেন্দ্র থেকে চলে যেতে বলি। এছাড়া ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্বাভাবিক রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রাজ্জাক মজুমদার বলেন, কেন্দ্রের বাইরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বহিরাগত ক্যাডাররা অবস্থান করছে। তারা ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দিচ্ছেন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নিজেই কেন্দ্রে এসে প্রকাশ্যে সিল মারার হুমকি দিয়েছেন। এই অবস্থায় নির্বাচনের সুষ্ঠু কোনো পরিবেশ দেখছি না। তবে ভোটাররা যদি ভোট দিতে পারে, তাহলে আমার বিজয় সময়ের ব্যাপারমাত্র।
এদিকে আবুল হাশেমের সাথে কথা বললে তিনি এসব তথ্য অস্বীকার করেন, তিনি বলেন এসব মিথ্যা অভিযোগ। তবে এইটুকু বাদে তিনি অন্য কোন মন্তব্য করেন নি। এখন পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছে। পরিস্থিতি সাভাবিক। সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহন চলছে।