সম্প্রতি বাংলাদেশের নির্বাচন চলাকালীন সময় নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গাতেই সহিংসতা মতো ঘটনাও দেখা যাচ্ছে। কিন্তু জীবনের মায়া ত্যাগ করে ভোট দিতে যাচ্ছে এমন ঘটনা কি শুনেছেন কখনো? সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলে, বিচারক এসেছে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে প্রাণের মায়া ত্যাগ করে ভোট দিতে যাওয়া লাগতেছে।
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভোট দিতে হচ্ছে সাধারণ ভোটারদের। জরাজীর্ণ ভবন আর ঢালু স্থান হওয়ায় কষ্ট করে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের।
বুধবার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ঢং পাড়া কেন্দ্রে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।
লাইনে থাকা ভোটাররা জানান, ঢালু স্থান হওয়ায় কষ্ট করে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। আবার ভোট দিতে কেন্দ্রের ভেতরে যেতেও ভয় করছে।
সুজায়েত হোসেন নামের এক ভোটার জানান, ভোট কেন্দ্রের ভবনটি ঝুঁকিপুর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে অনেক আগেই। এই ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, এভাবে কোনো কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় ভবনটি ধসে পড়তে পারে। নেই কোনো বিদুৎ সংযোগ। ভোট শুরুর আগে অন্য একটি বাড়ি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে।
কেন্দ্রের প্রজাইডিং কর্মকর্তা ভজন চন্দ্র দাস বাংলানিউজকে জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভোট দিতে হচ্ছে সাধারণ ভোটারদের। এছাড়া লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতেও কষ্ট হচ্ছে তাদের। কেন্দ্রের ভেতরে থাকা সকলেই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
শুরুতে সহিংসতার ভয়ে ভোট দেওয়ার কথা মনে হলেও ব্যাপারটা ভিন্ন রকম। যদি একবার বিল্ডিং ধসে যায় তাহলে কারোই বাঁচার কোন উপায় নেই। সরকারি ভবন যেখানে চলবে ভোট সেখানেও নেই সংস্কারের নাম গন্ধ। কতটা ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হলে মানুষের মুখ থেকে এমন কথা শোনা যায়! এখন দেখার বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয় কিনা।