রাজধানীর পল্টনে গত ২৮তম বিএনপির সমাবেশে হাম”লা, ভাং”চুর ও পুলিশের মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এছাড়া গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বিএনপি কর্মী ইসমাঈল পাটওয়ারী, শ্যামপুর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল সাঈদ রনি, শ্যামপুর থানার ৪৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য সচিব এসএম মুরাদ হোসেন মামু এবং যুবদলের কর্মী মাকসুদুর রহমান মাসুদ, মোস্তফা কামাল সুমন। বাসে আগুন দেওয়ার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আল আমিনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিবি জানায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীরা অগ্নিসং”যোগ ও গাড়ি ভা”ঙচুর করে।
রোববার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
তিনি বলেন, বিএনপির সমাবেশের দিন কমলাপুর রেলওয়ে অফিসার্স কোয়ার্টারের সামনে বিএনপি কর্মীরা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশকে মারধর করে। ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ইসমাইল পাটোয়ারী দুই নেতাকর্মীসহ সবুজ রঙের প্লাস্টিকের লাঠি নিয়ে পুলিশের ওপর হা”মলা চালায়।
এ ছাড়া প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, গাড়ি ভাঙ’চুর, পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বিএনপি নেতা আবদুস সামাদের কর্মী সাঈদ রনি, মুরাদ ও মাসুদ। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজেও তাদের দেখা গেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া মোস্তফা কামাল সুমন গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশের দিন পুলিশের ওপর হামলা করে এক পুলিশ সদস্যের দাঁত ভেঙে দেন। এমনকি তিনি এই ঘটনার ছবি প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘দাঁত ভাঙা জবাব দিয়েছি’। ঘটনার দিন সুমনের সঙ্গে যারা ছিল তাদের পরিচয় আমাদের জানিয়েছে বলে জানান ডিবির প্রধান হারুন।
তিনি বলেন, গত ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর বংশালে একটি বিমানের পরিবহনের এক যাত্রীতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আল আমিন নামে এক বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেদিন সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জ থেকে গাজীপুর রুটে চলাচল করা আকাশ পরিবহনের একটি গাড়িতে যাত্রীবেশে কয়েকজন মিলে ওঠে। পরে গাড়িতে আগুন দিয়ে তারা নেমে যায়।
গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। এছাড়া এ না”শকতা তাদের পূর্বপরিকল্পিত বলেও জানান ডিবি প্রধান।