সাধন চন্দ্র মজুমদার হলেন গণপ্রজাতন্তরী বাংলাডদেশ সরকারের মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী। এই সম্মানীয় পদে আসীন হবার পর থেকে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাশীল দল আওয়ামী লীগের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবীদ। তিনি নঁওগা-১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবার পর দেশের খাদ্যের মোট চাহিদা পূরণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন চালের দাম যখন ৭-৮ টাকা বাড়ল, আমি সারারাত ঘুমাইনি।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চালের দাম ৭-৮ টাকা বেড়ে সারা রাত ঘুম হয়নি। তাড়াতাড়ি অফিসে গেলাম। একই দিনে আমি ঘোষণা করেছি যে ওএমএস 1 সেপ্টেম্বর থেকে চালু হবে।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হক।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এ কারণে চালের দাম বৃদ্ধি সম্পূর্ণ অনুচিত বলে মনে করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, আমাদের আরও পরিকল্পনা আছে। যাতে ভোক্তারা স্বস্তি পান, যাতে কোনো হাহাকার না থাকে। সে জন্য স্টক বাড়ানো হবে।
তিনি আরও বলেন, একদিকে কৃষকের অধিকারের সমস্যা, অন্যদিকে ভোক্তাদের সমস্যা। দেশ ও জনগণের কল্যাণে যে কোনো তথ্য দিতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ১ অক্টোবর থেকে সব ডিলারকে আটা দেওয়া হবে। যাতে ওএমএসে চালের সঙ্গে আটা যোগ করা যায়। কালোবাজারি ঠেকাতে দুই কেজির প্যাকেটে আটা বিক্রি করা হবে বলে জানান তিনি। এতে আটার কালোবাজারি কমবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের মানুষ ভাতে মাছে বাঙ্গালী। ভাত এ দেশের প্রধান খাবার। সাধারণত ধান থেকেই চাল হয়। বাংলাদেশে অনেক ধরণের ধানের চাষ করা হয়। ভাত যেহেতু এদেশের মানুষেৃর প্রধান খাদ্য তাই কথা মাথায় রেখেই সরকার চালের দাম জনগনের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বৈশ্বয়িক সংকটের কারনে সাময়িক সমস্যা দেখা দিলেও সরকার তা দক্ষ হাতে পরিচালনা করেছেন।