আমরা সবাই জানি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল, বাঙালি জাতিকে দীর্ঘদিনের শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্ত করে বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করা। আর এসব করতে গিয়ে, তিনি অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। ত্যাগ ছিল তার আদর্শ। সেই আদর্শের সারমর্ম বিসর্জন ও সংগ্রাম।
যেখানে তিনি ব্যক্তিগত স্বার্থ, লোভ ও অবস্থানের উর্ধ্বে উঠেছিলেন, সেখানে তিনি তার বিশ্বাসে অটুল ছিলেন। আত্মনিয়ন্ত্রণ, আত্মশুদ্ধি, আত্মসমালোচনা, সমাজের সর্বস্তরে ন্যায় প্রতিষ্ঠা, সমাজ থেকে দুর্নীতি নির্মূল ও শান্তি প্রতিষ্ঠা এগুলো ছিল তার উদ্দেশ্য। সেই আদর্শবান মানুষটি সারা জীবন বাংলার মানুষের কথা ভেবেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ( Bangabandhu ) ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ( Asaduzzaman Khan ) বলেছেন,
বাংলাদেশের ( Bangladesh ) স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ( Bangladesh ) ইতিহাস বিকৃত করার অপচেষ্টা করতে আমরা দেখেছি। “কেউবা এসে হুইসেল দিল, আর দেশ স্বাধীন হলো তা হয় নি”। গতকাল জাতীয় জাদুঘরের শেখ ফজিলাতুননেসা ( Sheikh Fazilatunnesa ) মুজিব হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ( Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman ) ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে বঙ্গবন্ধুর ( Bangabandhu ) অসমাপ্ত আত্মজীবনীর বই ও ল্যাপটপ তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “একসময় শি’শু-কিশোরদের মধ্যে বিকৃত ইতিহাস ছড়ানো হচ্ছিল”। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শি”শু-কিশোরদের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরছেন। তিনি বলেন, ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু নিজ বাসভবনে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। একই সঙ্গে সারাদেশে এমন কোনো বাড়ি নেই যেখানে স্বাধীনতার পতাকা উড়েনি। ৭ মার্চের ( March ) ভাষণ বদলে দেয় বাংলাদেশ। আমরা নি’র/স্ত্র বাঙালি, তাই বঙ্গবন্ধু আমাদের যা আছে তাই নিয়ে দাঁড়াতে বলেছেন। বঙ্গবন্ধুর ( Bangabandhu ) ডাকে নিরস্ত্র বাঙালিরা সশ’/স্ত্র হয়ে দেশ স্বাধীন করে। আসাদুজ্জামান খান ( Asaduzzaman Khan ) বলেন, ‘আমাদের সামনে ২৫ মার্চ আসছে, সেই রাতে। পাকিস্তানের ( Pakistan ) হা”নাদার বাহি”নী নির’স্ত্র বাঙালিদের ওপর হামলা চালায়। সেই দিন থেকে দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত ৩০ লাখ বাঙালি শহীদ হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কিভাবে এলেন এবং কিভাবে বাংলাদেশ এলো তা জানতে আপনাকে এই বইটি (অসমাপ্ত আত্মজীবনী) পড়তে হবে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল ( Dr. Shamsul ) আলম। তিনি সভায় উপস্থিত শিশু-কিশোরদের সাথে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ( Sheikh Hasina ) কী করছেন এবং বঙ্গবন্ধুর ( Bangabandhu ) স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী তা তুলে ধরেন। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহীদ উল্লাহর ( KM Shahid Ullah ) সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী ( Mohammad Mehedi Hasan Chowdhury ) ও সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম ( Sirajul Islam ) মোল্লা।
প্রসঙ্গত, অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি মহোদয়বৃন্দ দেশ ও দেশের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেন। সেইসঙ্গে সেই সময়কার পরিস্থিতি সম্পর্কে শিশুদের জানান। ভবিষ্যতে শিশু-কিশোররা দেশকে কিভাবে অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাবে সে ব্যাপারেও বিশ্লেষকরা বক্তৃতার মাধ্যমে কিছুটা বিশ্লেষণ করেন। বঙ্গবন্ধুর ( Bangabandhu ) আদর্শে আদর্শিত হওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা দেন।