Saturday , December 21 2024
Breaking News
Home / Countrywide / কেউ আমার পিঠে হাত দেয়, প্রথমে পাত্তা না দিলেও পরে দেখি দাড়িওয়ালা, বাকিটা ইতিহাস: নারী ব্যাংকার সুমি

কেউ আমার পিঠে হাত দেয়, প্রথমে পাত্তা না দিলেও পরে দেখি দাড়িওয়ালা, বাকিটা ইতিহাস: নারী ব্যাংকার সুমি

প্রতিদিনই কেউ না কেউ পুরুষের হাতে রাস্তায় অসম্মানীত হচ্ছে। সম্প্রতি এক মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক কলেজ ছাত্রীর সাথে এমন খারাপ কাজ করা অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা সম্পর্কে ভুক্তভোগী ওই নারীর থেকে জানা যায়, ঘটনার পুরো বিবরণ।

তিনি বলেন, বুঝলাম কেউ আমার পিঠে হাত দিচ্ছে। প্রথমে পাত্তা দেয়নি। পরে দেখলাম একজন মাঝবয়সী দাড়িওয়ালা আমার পিঠে হাত দিচ্ছে আর সরিয়ে নিচ্ছেন। মাথা হঠাত গরম হয়ে গেল, এরপর ইতিহাস।

সংবাদ মাধ্যমে তিনি ঘটনা বিবরনে বলেন, সিএনজি থেকে নেমে সবার সামনে ৩০ মিনিট রাস্তায় উঠলাম। এরপর এই কান্ড ঘটে। সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্ন: মেডাম ইতিহাস বলতে কি করেছে এরপর? শতবার চড় মেরেছি।

কথাগুলো বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রী সুমি ঊর্মি। সুমি বর্তমানে সিলেট নগরীর ঢাকা ব্যাংকের একটি শাখায় কর্মরত। তিনি সংবাদ মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরেন, রোববার (৩ জুলাই) রাতে অফিস শেষ করে কিছু কেনাকাটা করে বাসায় ফিরছিলেন। রাত ৮টার দিকে বন্দর এলাকা থেকে শাহপরাণ রুটের সিএনজিতে উঠি। পিছনের সিটে আমার পাশে একটি ছোট ছেলে এবং তার পাশে একজন মধ্যবয়সী লোক দাঁড়িয়েছিল।

মাঝখানে ছোট ছেলেটি বসে ছিল। আমি আমার শপিং ব্যাগ পিছনে ফেলে এসেছি। প্রথমে ভেবেছিলাম ব্যাগগুলো আমার পিঠে। তার মানে আমি আমার পিঠে কিছুর স্পর্শ অনুভব করছিলাম। কয়েক মিনিট মনোযোগ দিলাম না। সিএনজি যখন শাহপরান উপশহরে পৌছালাম তখন বুঝলাম কেউ আঙুল দিয়ে আমার পিঠে আঁচড়াচ্ছে। ততক্ষণে মাঝ কিশোর নেমে গেছে।

হয়রানিকারী আসামিকে হাতে নাতে ধরে ফেলার বর্নানা দিয়ে বলেন পিঠে হাত দিয়ে ধরেছে। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে চিৎকার করে জিজ্ঞেস করতে থাকে। তখন মাথা গরম হয়ে গেল। আমাদের ইচ্ছা মত আরোহণ শুরু করা যাক. শাহপরাণ মোড়ের কাছে প্রায় ৩০ মিনিট শরীরের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে অনেক গুলো থাপ্পড় মারলাম।

সুমি জানান, দীর্ঘক্ষন ধরে তাকে চড়ানের পর আসামি তার পা চেপে ধরে ক্ষমা চাইতে থাকে। ধীরে ধীরে লোকজন সেখানে জড়ো হয়। স্থানীয়রা এসে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করতে বলে। কেউ কেউ ক্ষমা চান এবং মুক্তি চান। এরপর সুমি তাকে ছেড়ে বাসায় চলে যায়। সুমি বলেন, পাশে একটি থানা ছিল, কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করার সময় তার নেই। এবং এটি এত দ্রুত ঘটেছিল যে ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিসের 999 নম্বরে কল করার সময় ছিল না। চড় মারার পর, মধ্যবয়সী ব্যক্তি নিজেকে একটি মাদ্রাসার শিক্ষক হিসাবে পরিচয় দেন। তবে সুমি তার নাম বলেননি ।

ব্যাংকার সুমি ঊর্মি কেন আইন নিজের হাতে তুলে নিতে গেলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, চলতি বছরের ৭ মার্চ সিএনজির ভেতরে তাকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। তিনি প্রতিবাদ করলে সিএনজি থেকে আসামিরা তাকে নিচে ফেলে দেয়। সুমি বলেন, সিলেট এলাকায় গণপরিবহনে নারীদের যৌ/ ন হয়রানি নিত্যদিনের ঘটনা। সিলেট একটি রক্ষণশীল এলাকা হওয়ায় কোনো নারী প্রতিবাদ করতে পারে না। ভুক্তভোগী সুমি অভিযোগ করেন, নারীরাই দায়ী।

 

About Nasimul Islam

Check Also

চরম উত্তাল, কক্সবাজারের পাশে জন্ম হচ্ছে নতুন দেশ

বাংলাদেশের পাশেই আত্নপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে একটি নতুন স্বাধীন রাষ্ট্রের। যে কোনো সময় নতুন দেশটি আত্মপ্রকাশ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *