ভারতীয় হিন্দি সিনেমার অন্যতম সুপার স্টার অভিনেতা ও ‘ভাইজান’ খ্যাত তারকা সালমান খান। তবে অভিনয়ের পাশাপাশি গান গেয়েও ভক্তের মাঝে পেয়েছেন দারুন সফলতা। কিন্তু আজ এ পর্যায়ে আসাটা তার জন্য মটেও সহজ ছিল না। কেরিয়ারের শুরুর দিকে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল তাকে।
প্রথম ছবি ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’মুক্তির কয়েক মাসের মধ্যেই সালমানের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। সালমান-ভাগ্যশ্রী জুটি বলিউডে পা রাখার পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। ভাগ্যশ্রী হঠাৎ সেখান থেকে সরে গেলে একাই পড়ে যান সালমান।
তাঁর কথায়, “ভাগ্যশ্রী সমস্ত কৃতিত্ব নিয়ে চলে গেলেন। তিনি আর কাজ করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন, তিনি বিয়ে করেন এবং বিয়ে করেন।” পরের ৬ মাস সালমানের কাছে কোনও কাজ ছিল না। প্রযোজক রমেশ তৌরানি তখন ত্রাতার ভূমিকায় হাজির হন।
আজও তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সালমান। সেই দুর্ভাগ্যের কথা বলতে গিয়ে মঞ্চে কেঁদে ফেলেন সালমান। পুরনো দিনের কথা মনে করে তিনি বলেন, ভাগ্যশ্রী সব কিছু নিয়ে সরে গেল, আমার হাতে কিছুই ছিল না।
“সে সময় আমার বাবা প্রযোজক জিপি সিপ্পিকে ২০০০ টাকা দিয়েছিলেন,” তিনি বলেছিলেন। একটি ফিল্ম ম্যাগাজিনে মিথ্যা ঘোষণা করতে বলেন যে তিনি আমাকে একটি ছবিতে তুলেছেন। জিপি সেটা করেছে। কিন্তু তখন কোনো ছবি ছিল না। ”
সালমানের মতে, রমেশ তৌরানি তার পরে দেবদূতের মতো হাজির হন। তিনি সিপ্পির অফিসে গিয়ে গানটির জন্য ৫ লাখ টাকা দেন। সেই অর্থের দোহাই দিয়ে অবশেষে নির্মিত হলো ‘পাথর কে ফুল’ চলচ্চিত্র। আমি এখনও তার কাছে কৃতজ্ঞ।
তবে আরও শুভাকাঙ্ক্ষী ছিলেন। ভাইজান বলেছিলেন যে তিনি একবার শপিং মলে একটি শার্ট এবং একটি মানিব্যাগ পছন্দ করেছিলেন। সে খুঁজছিল। কেনার সামর্থ্য ছিল না। সুনীল শেঠি সালমানকে চমকে দিয়ে তাকে উপহার হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। বনি কাপুরকেও ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি সালমান। ভগবান দেব তার কর্মজীবন রক্ষা করলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে ‘বিবি হো তো অ্যায়সি’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্যদিয়ে বলিউডে প্রথমবারের মতো পা রেখেই কোটি কোটি ভক্তের মন জয় করে নেন সালমান খান। বর্তমানে তার ঝুলিতে রয়েছে একাধীক ব্যবসায় সফল সিনেমা।