সম্প্রতি বাংলাদেশের র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর থেকেই চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এবারে সেই বিষয় নিয়েই আগুনে ঘি ঢালার মতো কিছু মন্তব্য করলেন বিএনপি’র সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ। সাথে প্রশ্ন করেছেন একাধিক বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কে উদ্দেশ্য করে। উল্লেখযোগ্য ভাবে বলেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের করে ফেলেছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের করেছিলেন।
“১২টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা জাতিসংঘে হত্যা, গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য নোটিশ জারি করেছে এবং আমরা জানতে চাই যে আপডেটটি কী,” তিনি বলেছিলেন। র্যাবের সাত সদস্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তার সর্বশেষ অবস্থা কী এবং এর আলোকে, আমি সত্যিই বলব, পররাষ্ট্র সচিব কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের করেছেন।
রোববার দুপুর ১২টায় একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন সংক্রান্ত আইনের খসড়া বিল আকারে সংসদে উত্থাপিত হয়। বিলটি উত্থাপন করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
বিএনপির বিরুদ্ধে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধিতা করে দলের সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ বলেন, আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব, আগামী অধিবেশনে এ বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দেবেন। অন্যথায় সরকার ও তার মন্ত্রীরা ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণের মধ্যে এসব বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে ধরে নেব। সরকার লবিস্ট নিয়োগ করেছে কি না। আমরা দাবি করছি, আওয়ামী লীগ বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করেছে কি না এবং বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করেছে কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতীয় পরিষদে ভাষণ দেবেন।
তিনি বলেন, দেশে ২০১৪ সালের নির্বাচন এবং ২০১৬ সালের নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়নি। এ কারণে সরকার লবিস্ট নিয়োগ করে গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করছে কি না তা স্পষ্ট করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিএনপির এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে যে তথ্য তুলে ধরেছেন, তার পর পরশু পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেনকে দেখেছি, র্যাব যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য মিলে তৈরি করেছে। তার মানে কি বাংলাদেশে র্যাবের সদস্যরা যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রের সদস্য? এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য চাই।
বাংলাদেশের লবিস্ট নিয়োগ সহ নানান বিতর্কিত কথার সাথে একাধিক প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন হারুন। এসব প্রশ্নের উত্তরে এখনো বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কিছুই শোনা যায়নি। হারুন আহ্বান করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কে সংসদের বিষয়গুলো তুলে ধরার জন্য এখন দেখার বিষয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হারুনের এই আহবানে সাড়া দেন কিনা। সেই সাথে এই সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন দিতে পারেন কিনা।