বর্তমান সময়ে দেশে এক শ্রেনীর বালু খাদকের নাম শোনা যায়। এরা নিজেদের লাভের স্বার্থে ফসলি জমিগুলোর মাটি ও বালি বিক্রি করে দিয়ে জমিকে চিরতরে ফসল উৎপাদনহীন করে রাখে। এরা বেশ কৌশল নিয়ে কাজ করে থাকে। অনেক সময় এরা ঐ জমির কাগজপত্র দিয়ে ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমান লোন নিয়ে থাকে। এবার এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন আব্দুন নূর তুষার। তার পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-
এটি একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তির চিঠি।
স্যার , কৃষি ব্যাঙ্ক খালি হচ্ছে, আমি জানি না আপনি এই ব্যাপার এ অবগত আছেন কিনা। স্ক্যাম গুলা গ্রামের কিছু নেতা কর্মী করে থাকে। তারা প্রথমে কৃষি জমি খুব সস্তায় কিনে থাকে। তারপর ওই জমি দিয়ে কৃষি ব্যাঙ্ক থেকে জমির দামের কয়েক গুন্ লোন নেয়। এরপর রাতের অন্ধকারে ওই জমির মাটি বিক্রি করে ১২ ফিট+ গভীর। এরপর ওই জমির প্রতি তাদের নজর থাকে না।
আমি মোটামুটি একটা হিসাব দিচ্ছি আপনাকে ,
কৃষি জমি দাম ২০০০০ টাকা (শতক) ক্রয় করে
এই জমির বিপরীতে রাজনৈতিক প্রভাব বা অন্য কোনো ভাবে ৫০০০০ বা আরো বেশি করে লোন নিয়ে থাকে। এরপর মাটি বিক্রি করে ১০০০০০+ প্রতি শতকে। এই ব্যাপারে স্থানীয় কতৃপক্ষ, পুলিশ রাজনীতিবিদ সবাই অবগত আছে , তারা ভাগ পায়, এই জন্য কৃষি জমি গুলা গভীর গর্তে পরিণত হচ্ছে।
এরপর এই জমি বিক্রি করে দিয়েও কৃষি ব্যাংক আর ঋণের টাকা ফেরত আনতে পারে না।
এই বিষয়টি নিয়ে সরকার নানা ধরনের পদক্ষেপ নিলেও রাজনৈতিক ক্ষমতা দেখিয়ে তারা পার পেয়ে যান। তবে অনেক সময় এই সকল বালু খাদকেরা যে বিপাকে পড়েন না সেটা বলাও সমীচিন নয়। তবে সরকারের উচিৎ এই বিষয়টিতে জিরো টলারেন্স নীতি দেখানো।