সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে গেছে একটি বড় ধরনের ঘটনা। বাংলাদেশের নিবন্ধিত একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকে রাস্তায় সবার সামনে থাপ্পড় মেরেছেন আওয়ামীলীগের কৃষকলীগের এক নেতা। আর এ নিয়ে এখন দেশে চলছে নানা ধরনের আলোচনা আর সমালোচনা। এ নিয়ে এবার একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন সাবেক সেনাকর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলো হুবহু:-
প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক স্যারকে স্যালুট জানাই তিনি ২০০৮ সালে সরকারের উচ্চপদ থেকে অবসর গ্রহনের পরও নিজ কমফোর্ট জোন থেকে বেড়িয়ে এসে জনগনের স্বার্থে রাজনীতিতে এসেছেন। নিজে গড়েছেন সর্বজন বিপ্লবী দল। সেই কৃষকলীগের পান্ডা বনি আমিন স্যারকে চড় না মারলে স্যারের এই স্যাকরিফাইজ আমরা জানতেই পারতামনা। তিনি ইচ্ছে করলেই পারতেন অবসরের পর পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে বাকী জীবনটা কাটিয়ে দিতে। আজকে লন্ডনের টেমস নদীর পারে একটা সেল্ফি দিয়ে পরের মাসে হয়ত স্ট্যাচু অব লিবার্টির পাসে ফেইসবুকে সেল্ফি দিয়ে অবসর সময়টা পার করতে পারতেন। অথবা যদি অবসরের আগে একটু জয়বাংলা/জয় বংগবন্ধু উপযুক্ত যায়গায় বলতে পারতেন তবে হয়ত ইসলামী ব্যাংক বা সিটিব্যাংক বা অন্য কোন নামী ব্যাংকের চাকুরী যোগাড় করে লুটপাট অনুমোদন বা অংশগ্রহনও করতে পারতেন। তা তিনি করেননি! তিনি দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে জনগনের হক আদায়ের জন্য মাঠে নেমেছেন!
আমার খুব কস্ট লাগে যখন সেনাবাহিনীতে চাকুরীকালীন যাদের ন্যায়ের কান্ডারী হিসেবে দেখেছি তারা আমার কিছু লেখায় কমেন্ট বা লাইক দিতেও ভয় পায়! তাই তারা আমাকে ইনবক্সে খুব এ্যাপ্রিশিয়েট করেন। একজনতো আমার বাসায় সেনা অফিসারদের পার্টি হচ্ছে সেই লাইভ পোস্ট দেখে সেখানে উপস্হিত অন্য অফিসারকে ফোন করে সেই অফিসারের ফোনে আমার সাথে কথা বলে আমাকে বাহাবা দিলেন! এর মধ্যে একাধিক অতি উচ্চপদের অফিসারও রয়েছেন বেশ কিছু। দুই জনকে বলার চেস্টা করেছিলাম স্যার আপনারা কিছু লিখলে এর গ্রহনযোগ্যতা আরও বেশী হতনা স্যার। তারা প্রত্যেকেই তাদের বিনয় আর কূটনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে আমাকে কনভিন্স করার চেস্টা করলেন তাদের দ্বারা কেন এই কাজ সম্ভব নয়।
মূল কারন একটাই কেউ তারা তাদের কমফোর্ট জোন থেকে বের হবেন না। ইনামুল হক স্যার পারতেন তার কমফোর্ট জোন থেকে না বের হতে কিন্তু তিনি কৃষক লীগের সেই পান্ডা স্যারকে জাতির সামনে চড় মেরে তাকে কি লান্ছিত করতে পেরেছে? জী না! এই চড় লান্ছিত করেছে স্বেচ্ছাচারী আওয়ামীলীগ আর এর সভাপতি শেখ হাসিনা সহ আওয়ামীলীগের সব সদস্যকে। একটু আগের আওয়ামীলীগের জাতীয় সম্মেলনে তারা যে বিচারহীনতার রাজনীতি প্রচার করেছে এটা তার বহিপ্রকাশ। এখন পর্যন্ত কোন গুরুত্বপূর্ণ আওয়ামীলীগ নেতাকে দেখলামনা এই ঘটনার সমালোচনা করতে! সমালোচনা তো দূর কি বাত আমি নিশ্চিত তাকে সবাই বাহাবা দিয়েছে! তার এই চড় নিশ্চিত করবে ভবিষ্যতে কোন সন্মানিত নাগরিক জনগনের হক আদায়ের জন্য আর রাস্তায় না বের হয়!
ইনামুল হক স্যার এর বিচারও চায়নি এবং মাথা উঁচু করে তার দাবীতে অবিচল ছিলেন। স্যার স্যালুট ইউ!
প্রসঙ্গত, একটা সময়ে তিনি ছিলেন ম. ইনামুল হক ছিলেন সরকারের প্রকৌশলী। অবসরের পর সকলে আড়ালে চলে গেলেও তিনি চলে আসেন সবার সামনে। গঠন করেন নতুন দল। আর সেই থেকেই তিনি এই দল নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।