কুমিল্লায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা, ব্যাপক হতাহতের শঙ্কা

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে চট্টগ্রাম থেকে জামালপুরগামী বিজয় এক্সপ্রেসের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।

রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলার ধলুয়া ইউনিয়নের তেজের বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে থাকা লক ভেঙে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের উভয় লাইনে ট্রেনের বগি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-সিলেট, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর, চট্টগ্রাম-জামালপুর সড়কে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এ ছাড়া ঢাকা ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারগামী ট্রেন একপাশ দিয়ে চলাচল করছে।

হতাহতের বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জামাল হোসেন দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


এবার কক্সবাজার উপকূলে জলদস্যুর কবলে আরেক জাহাজ

কক্সবাজারে এমভি আকিজ লজিস্টিকস-২৩ নামের একটি জাহাজে জলদস্যুতার ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুপুরে কুতুবদিয়া চ্যানেলে সিমেন্ট ক্লিঙ্কারবাহী জাহাজে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কুতুবদিয়া থানায় মামলা হয়েছে। ঘনাটি মিডায়র সামনে আসে যখন আমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি সোমালিয়ান জলদস্যুরা আটক করে।

যাইহোক, মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৬ মার্চ চট্টগ্রাম থেকে সিমেন্ট ক্লিংকার বোঝাই এমভি আকিজ লজিস্টিকস-২৩ কুতুবদিয়া বাতিঘর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার পশ্চিমে নোঙর করে। পরদিন রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে বড় একটি ফিশিং ট্রলার যোগে দেশীয় তৈরি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জাহাজে উঠে মুখোশধারী ২৫-৩০ জন ডাকাত। এ সময় জাহাজের মাস্টারসহ ১২ জন কর্মচারীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি ও মারধর করে স্মার্ট ফোন, নগদ টাকা, ব্যাটারি, ইঞ্জিন- রাডার-ইকোসাউন্ডের মনিটর, জিপিএস, সোলার প্যানেলসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। মুখোশধারী ডাকাতদের চিহ্নিত করা না গেলেও সকলে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের আঞ্চলিক ভাষায় কথাবার্তা বলেছেন।

মঙ্গলবার এ ঘটনায় আকিজ শিপিং লাইন লিমিটেডের অপারেশন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২৫ থেকে ৩০ জনের বিরুদ্ধে কুতুবদিয়া থানায় মামলা করেন।

কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম কবির সাগরে জাহাজ ডাকাতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সাগরে অপরাধ নির্মূলের জন্য আলাদা বিভাগ রয়েছে। তবে এ ঘটনায় আমাদের সীমান্তের কোনো জলদস্যু জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।