যখন একজন ভিক্ষুকের ঘরে কয়েক কোটি টাকা পাওয়া যায় তখন স্বাভাবিকভাবেই মানুষ কিছুটা চমকে যাবেন। তবে এটি কোন অকল্পনীয় ঘটনা নয়। এবার কুমিল্লা জেলার তিতাসে একজন ভিক্ষুকের বাড়িতে একটি সিন্দুকে প্রায় আড়াই কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। ভিক্ষুকের নাম আমির হোসেন ওরফে বিশা পাগলা।
উপজেলার গাজীপুরে ঐ ভিক্ষুকের সিন্দুকে পাওয়া গেছে ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ঈদের দুই দিন আগে শুক্রবার আমির হোসেন ওরফে বিশা পাগলা নামের এই ভিক্ষুক প্রয়াত হন।
নিঃসন্তান এই ভিক্ষুকের প্রয়ানের পর স্থানীয় চেয়ারম্যান তার বাড়ির জিনিসপত্র কী কী রয়েছে সেটা পরবর্তীতে দেখা যাবে বলে ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন। মঙ্গলবার মালামাল দেখতে গিয়ে একটি সিন্দুকে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। এরপর ঘটনার খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে আবার ঘরে তালা দেওয়া হয়। বুধবার পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার জনগণের সামনে টাকা গুনতে গিয়ে দেখা গেছে ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা রয়েছে। ওই টাকা ব্যাংকে রাখার জন্য নেওয়া হয়েছে।
ভিক্ষুকের ইচ্ছানুযায়ী টাকা দিয়ে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হবে বলে এলাকাবাসী জানায়। এছাড়াও, এটি তার একটি দত্তক কন্যাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য ব্যয় করা যেতে পারে বলে জানান সেখানকার স্থানীয়রা।
তবে এ টাকা নিয়ে নানা ষড়য”ন্ত্র হতে পারে বলেও সম্ভবনা দেখছেন এলাকার মানুষ। ভিক্ষুকের উপযুক্ত উত্তরাধিকারী না থাকায় এ টাকা সঠিক কাজে ব্যবহার হবে না বলেও মনে করছেন স্থানীয়রা।
তিতাস উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন ফকির বলেন, আমরা দায়িত্বের সঙ্গে ভিক্ষুকের ঘরে থাকা সব টাকা পুলিশ প্রশাসনের সহয়তা নিয়ে গণনা করেছি এবং এলাকার মানুষ টাকা ব্যাংকে রাখার দাবি জানিয়েছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় জনগণের সঠিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ টাকা ব্যবহার করা হবে।
এদিকে এ বিপুল পরিমাণ অর্থ কোথা থেকে ভিক্ষুকের ঘরে এলো সে বিষয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে অনেকে বলছেন, তিনি যে অর্থ ভিক্ষা করে পেতেন, সেটা তিনি ব্যাংক এবং অন্য কোথাও রাখতেন না। নিজের ঘরে সঞ্চয় করে রাখতেন, যার কারণে তিল তিল করে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় হয়েছে তার সিন্দুকে।