Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / কুমিল্লার ইতিহাসে এই প্রথম, পুলিশের কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকেছে পুরো শহর

কুমিল্লার ইতিহাসে এই প্রথম, পুলিশের কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকেছে পুরো শহর

আসন্ন কুসিক নির্বাচনকে ‍ঘীরে রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা প্রচার প্রচারনা শুরু করেছেন। এরই মধ্যে পোষ্টার ছেড়া নিয়ে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানাও গুনতে হয়েছে কুসিক নির্বাচনের প্রার্থী কায়ছারকে। ছেড়া নির্বাচনের প্রচারনা বাঁধা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে নির্বাচনে অংশ্য গ্রহন করা প্রর্থীদের উপর।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন আর মাত্র তিন দিন বাকি। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা। তবে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু আশঙ্কা করছেন, ভোটের দিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বহিরাগত এনে কেন্দ্র দখল করতে পারে। শনিবার (১১ জুন) দুপুরে নগরীর রানীর বাজার এলাকায় এক জনসভায় তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

মনিরুল হক সাক্কু বলেন, “নির্বাচনের দিন পরিস্থিতি নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। শুনেছি বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে বহিরাগতদের এনে ভোটকেন্দ্রের সামনে বসানো হবে। ভোটাররা যাতে ভোট দিতে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে। .’

তিনি বলেন, ‘বিদেশিদের দেখলে সাধারণ মানুষ ভয় পায়। কেন্দ্রে বহিরাগতরা থাকলে কেউ নির্বাচনে যেতে চাইবে না। আমি নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে এ বিষয়ে নজর রাখার অনুরোধ করব।

কুমিল্লা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) এম তানভীর আহমেদ বলেন, ‘সিটি নির্বাচনকে ঘিরে দুই হাজারের বেশি পুলিশ, এপিবিএন, আরএনএফ, গোয়েন্দা সদস্য কাজ করছেন। কুমিল্লার ইতিহাসে এই প্রথম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকেছে পুরো কুমিল্লা শহর।

তিনি বলেন, ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগে সবকিছু বন্ধ করে জেলা পুলিশের জন্য বিশেষ পরিকল্পনার কাজ শুরু হবে। নির্বাচনী এলাকায় বিদেশিদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। চেকপোস্ট ও গোয়েন্দা নজরদারিসহ শহরে প্রবেশ ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আগামী ১৫ জুন কুমিল্লা সিটিতে ভোট হবে। এ সিটির ২৬টি ওয়ার্ডের ১০৫টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ভোটার দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন এবং পুরুষ ভোটার এক লাখ ১২ হাজার ৬২৮ জন।

উল্লেখ্য, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল হক সাক্কু ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রথম কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে নাগরিক সমাজের ব্যানারে প্রথমবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন এবং ৩০ মার্চ দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন। 2016. প্রথমবারের মতো, তিনি আওয়ামী লীগের একজন প্রবীণ ও প্রভাবশালী নেতা আফজাল খানের কাছে হেরেছিলেন। দ্বিতীয় তার মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে পরাজিত করেন। এর আগে তিনি ২০০৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে বিলুপ্ত কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান ও মেয়র ছিলেন।

About Nasimul Islam

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *