বিষয়টি রীতিমতো অবাক করার মতোই, কিন্তু বাস্তবেই এবার এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার হাউজিং এষ্টেট এলাকায়। যেখানে লাশের সামনেই সম্পত্তি নিয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন মেয়ে ও সৎ মা। এতে মুহূর্তেই ঘটনাস্থলে জড়ো হন শত শত মানুষ। পরবর্তীতে শ্বশুরের লাশ প্রায় একঘণ্টা আটকে রেখেছে জামাতা।
পুলিশ জানিয়েছে এটি পারিবারিক দ্বন্দ্ব। নিহত ডা. সিরাজুল হকের মেয়ে হাছনেয়ারা বেগম জানান, আমার ১২ বছর বয়সে আমার মা মারা যান। ১৫ বছর বয়সে বিয়ে করি। তারপর স্বামীর বাড়ি চলে যাই। বাসায় বাবা একা, তাই দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পরের পরিবারে কোনো সন্তান ছিল না। বাবা গত ২০ বছর ধরে অসুস্থ। কয়েকবার স্টোক করেন। এরপর আমার সৎ মা সেতারা বেগম তার ভাই জাহাঙ্গীর ও তারেক আবাসনের জমির টিপসই নেন। বাড়ি বা গ্রামের বাড়ির কোনো সম্পত্তি পাইনি। আমি ছাড়া আমার বাবার কোন ছেলে মেয়ে নেই।
পুত্রবধূর জামাতা ডাঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, শ্বশুরবাড়ির লাশ দেখতে গেলে তারা আমার মেয়ের ব্যাগ রেখে দেয়। তার নানার বাড়ি ছেড়ে যেতে বলেছে। আমার স্ত্রীকে মারধর করে। এরপর একটু ঝগড়া হয়। ২০১৮ সালে, তারা আমার শ্বশুরের ৮ শতকের জমি, তিনতলা ভবন সহ কেড়ে নেয়। ব্যাংকের সব টাকা চলে যায় সৎ মায়ের কাছে।গ্রামের সকল জমি চাচাদের দিয়ে দেয়। নিহত ডাঃ সিরাজুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী সেতারা বেগম বলেন, আমি আমার স্বামীর লাশের সামনে কথা বলব না।
এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক বিষ্ণু কুমার রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টির মীমাংসা করা হয়। এরপর ঘন্টা খানেক পরেই লাশের জানাজা শেষে দাফন করা হয়।