কিছুদিন আগে সাভারের আশুলিয়ায় অবস্থিত একটি হোটেলে বিরিয়ানিতে কুকুরের মাংসের বিষয়টি নিয়ে বেশ তুলকালাম কাণ্ড ঘটে। এই ঘটনার পর সেখানকার থানা পুলিশ বেশকিছু মাংসের টুকরার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য লাইব্রেরীতে প্রেরণ করে। মাংস ছিল কুকুরের এমন ধরনের অভিযোগ তোলার মাধ্যমে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ খবরটি ভাইরাল হয়ে যায়। টেস্ট এর প্রেক্ষিতে ২৬ দিন পর জানা গেল ওই মাংসটি কুকুরের ছিল না। ছিল গরু, ছাগল এমন তৃণভোজী প্রাণীর মাংস।
শনিবার রাত ১০টায় আশুলিয়া থানার এসআই সুব্রত রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমি আজ রিপোর্ট পেয়েছি। প্রাণিসম্পদ বিভাগের সেন্ট্রাল ডিজিজ রিসার্চ ল্যাবরেটরির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা এটি পরীক্ষা করে জানিয়েছেন যে মাংসটি কুকুরের নয়।
প্রতিবেদনটি বিশ্লেষণ করে, মলিক্যুলার টেস্ট বা আণবিক পরীক্ষার ফলাফল বলছে এটি কুকুরের মাংস নয়। কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণা ল্যাবরেটরির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম আজম চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে গোলাম আজম চৌধুরী বলেন, “আমরা পিসিআর টেস্ট ও মলিকুলার টেস্টের মাধ্যমে মাংসের নমুনা পরীক্ষা করেছি। এটি কুকুরের মাংস নয়। তবে এটি কী ধরনের মাংস এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নমুনাগুলো আছে। আসলে এটি কুকুরের মাংস কিনা তা জানার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।” সেজন্য আমরা সেই অংশটি লিখিতভাবে উল্লেখ করেছি। তবে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করেছি যে এটি গরুর মাংস, ছাগল, মহিষ বা মাটনের মতো তৃণভোজী প্রাণী। এটি এই চারটি প্রাণীর যেকোনো একটির মাংস।
গত মে মাসের ১৫ তারিখ সাভারের আশুলিয়া থানাধীন নরসিংহপুর নামক এলাকায় আল্লাহর দান বিরিয়ানি হাউজ-৫ এমন নামের একটি হোটেলে এক নারী খাওয়ার পর অভিযোগ তোলেন যে বিরিয়ানিতে কুকুরের মাংস রয়েছে। এমনটা সন্দেহের পর এ খবর ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে। এরপর এই হোটেলের মালিককে সন্দেহভাজন দেখিয়ে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তবে অভিযোগ তোলা নারী বিপাকে পড়তে পারেন কিনা সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।