দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালে কোনো অনিয়ম বা ত্রুটি হলে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ভোট গ্রহন কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবেন। রোববার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ২৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রিটার্নিং অফিসারকে আগামী ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
নির্দেশে বলা হয়েছে যে, প্রিসাইডিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণের বাইরের কারণে ভোটগ্রহণ বিঘ্নিত বা বাধাগ্রস্ত হয় এবং তা ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুনরায় শুরু করা সম্ভব না হয়, তাহলে তিনি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ২৫-এর বিধান (পরিশিষ্ট-ক) অনুসারে অনতিবিলম্বে ভোটগ্রহণ বন্ধ করবেন।
এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাবেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রে ব্যবহৃত কোনো স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স যদি প্রিজাইডিং অফিসারের হেফাজত থেকে বেআইনিভাবে অপসারণ করা হয় বা দুর্ঘটনাক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ইচ্ছা করে নষ্ট করলে বা হারিয়ে গেলে বা এরূপ ক্ষতিগ্রস্ত বা বিকৃত হলে, তাহলে সেই কেন্দ্রের ফলাফল নির্ধারণ করা যাবে না। সেক্ষেত্রে প্রিজাইডিং অফিসার ভোটগ্রহণ বন্ধ করে রিটার্নিং অফিসারকে অবহিত করবেন। রিটার্নিং অফিসার অবিলম্বে ইসির কাছে ঘটনার প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
এরপর ইসির অনুমোদন নিয়ে নতুন করে ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করবেন তিনি।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে তার ফলাফল ওই আসনের বাকি কেন্দ্রের ফলাফল নির্ধারণ না করা হলে ওই কেন্দ্রে পুনঃভোট পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশন রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেবে। রিটার্নিং অফিসার ইসি কর্তৃক নির্দেশিত সেই কেন্দ্রে/কেন্দ্রগুলোর ভোটগ্রহণের তারিখ ও সময় নির্ধারণ করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবেন। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রের আওতাধীন সকল ভোটার ভোট দিতে পারবেন।