ছাত্রলীগের তিন কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের ঘটনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন-অর-রশীর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চেয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
সোমবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিশনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘ওসির নেতৃত্বে বাউন্ডিং’ শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদসহ একই বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) কক্ষে গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে রমনা বিভাগের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (এডিসি) নেতৃত্বে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্মমভাবে মারধর করে পুলিশের হারুন-অর-রশিদ।
মানবাধিকার কমিশন মনে করেছে যে সংবাদ প্রতিবেদনে ব্যক্তিগত অভিযোগের ভিত্তিতে একজন পুলিশ অফিসার কর্তৃক পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখানো হয়েছে।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তার এ ধরনের আচরণ আইন ও নৈতিকতার পরিপন্থী। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (প্রতিরোধ) আইন, ২০১৩ এর অধীনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যথাযথ বলে কমিশনের অভিমত।
এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এবং দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে কমিশনকে জানাতে বলা হয়েছে।