গতকাল রবিবার নেপালের পর্যটন শহর হিসেবে খ্যাত পোখরার বিমানবন্দরের কাছে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সকলে প্রয়াত হয়েছেন, বলে জানা গেছে। বিমানটি রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পোখরা যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কোনো সমস্যা না হলেও পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে পৌছলে বিমানটি হঠাৎ নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে এবং এক পাশে কাত হয়ে যায়। বিমানটিতে ৬৮ জন যাত্রী ও ২ জন পাইলট ও ২ জন বিমান বালা ছিল। এ ঘটনায় ৬৮ জনের ম”রদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং বাকি ৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। গত তিন দশকের মধ্যে নেপালে এটাই সবচেয়ে বড় বিমান দুর্ঘটনা।
কিন্তু কেন বিমানটি বিধ্ব”স্ত হলো? পাইলট এবং একজন বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত বিশেষজ্ঞের মতে, বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি কিংবা পাইলটের নিয়ন্ত্রণ হারানো বা পাইলটের ক্লান্তির কারণে মা”/রাত্মক
এই দুর্ঘটনাটি ঘটতে পারে।
তবে বিমানের ৭২ যাত্রীর এই ভাগ্যের সঠিক কারণ তদন্তের পরই জানা যাবে।
বিমান বিধ্ব”স্ত হওয়ার মুহূর্তের একটি ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে আকাশ পরিষ্কার ছিল, আবহাওয়া খারাপ ছিল না।
অভিজ্ঞ এয়ারলাইন কনসালট্যান্ট নিল হ্যান্সফোর্ডের মতে, পাইলট সম্ভবত বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। “আমি মনে করি পাইলট বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন এবং সেই কারণেই বিমানটি ঐ গর্তে বিধ্ব”স্ত হয়েছিল,” তিনি এবিসিকে এমনটি বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, বিমানের জ্বালানি ফুরিয়ে যায়নি কারণ দুর্ঘটনার পর আগুনের লেলিহান শিখা থেকে বোঝা যায় বিমানটিতে জ্বালানি ছিল।
তার মতে, নেপালের ভৌগোলিক অবস্থান, রুক্ষ ভূখণ্ড, আবহাওয়া বিমান ভ্রমণের জন্য উপযোগী নয়। এসব কারণে একজন পাইলটকে খুব দক্ষ হতে হয়। এছাড়া উড়োজাহাজ সংক্রান্ত উন্নত সারঞ্জাম প্রয়োজন। তবে, নেপালের মতো অনুন্নত দেশে এই সরঞ্জামগুলি ব্যবহার করা কার্যত অসম্ভব।
তিনি বলেছিলেন যে, তিনি নিজে নেপালে বিমানে যাতায়াতের সাহস করেন না। ‘আমি মনে করি আপনাকে জীবন হাতে নিয়ে ভ্রমণ করবেন। ‘
নেপালের এই বিমান দূর্ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যে ভিডিওটিতে দেখা যায় একজন যাত্রী লাইভ ভিডিওটি করছিলেন। সেই ভিডিওতে বিমানটির যাত্রীদের স্বাভাবিক অবস্থায় দেখা যায়। একটু পরেই সেটা হঠাৎ করে মাটিতে গিয়ে আছড়ে পড়ে আগুন ধরে যায়।