শ্রম আইন লঙ্ঘনের যে মামলায় মুহাম্মদ ইউনূসকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, সেই মামলার বিচারসংশ্লিষ্ট কাগজপত্র বারবার চেয়েও পাচ্ছেন না বলে তার আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন যে অভিযোগ করেছেন, তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন এই মামলায় কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও পরিদর্শন অধিদপ্তরের আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলী।
বুধবার হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, শ্রম আদালত মো. মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। এটি একটি ফৌজদারি অপরাধের কারণে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আপিল করবেন এবং আপিলের সুযোগ আইনে রয়েছে। আমি বিভিন্ন সূত্রে যা দেখেছি, শুনেছি এবং বুঝতে পেরেছি তা হল ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস সাহেব আপিল করার মতো সময় পাচ্ছেন না এবং তাকে হয়রানি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এআমি এখানে হয়রানিমূলক কোনো কিছু দেখছি না। কারণ আপিল করতে হলে আপিলের জন্য যে কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে, যিনি আপিল করবেন তিনি তা সংগ্রহ করবেন। তিনি কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে যদি কোথাও বাধাগ্রস্ত হয়ে থাকেন, তা হলে সেই ব্যাপারে তিনি বলতে পারতেন।
তারা ইতিমধ্যে মামলার সার্টিফাইড কপি পেয়েছে। তারা আপিল করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত নথিও পেয়েছেন। এখন তিনি আপিল করবেন। এবং আপীল দাখিলের জন্য প্রত্যয়িত অনুলিপি পাওয়ার পরে অবশিষ্ট সময় আপিলের সীমাবদ্ধতা থেকে বাদ দেওয়া হবে। সেই সময় বাদ দিয়ে সময় গণনা করা হয়। তাই এখানে হয়রানির প্রশ্নই আসে না। তাই হয়রানির বক্তব্য সম্পূর্ণ বস্তুনিষ্ঠ এবং এই বক্তব্য সঠিক নয়।
তিনি আরও বলেন, এখানে কোনো আইন লঙ্ঘন হয়নি। তারা যদি মনে করেন এক মাসের মধ্যে আপিল করতে পারবেন না, তাহলে সময় বাড়াতে পারেন, তাতে কোনো সমস্যা নেই। আইনেও সেই বিধান রয়েছে।