গতকাল ২০ নভেম্বর আনসার আল ই”সলাম নামের একটি নিষি’দ্ধ জ”ঙ্গি সংগঠন আদালত চত্বর থেকে চার জন আসামিকে ছি”নিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটায় তাদের ধরতে মাঠে নামে পুলিশ। ঘটনার পর দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয় বলে জানা গেছে। পুলিশের তরফ থেকে জানা গেছে, দুইজন আসা”মিকে পুলিশের কাছ থেকে ছি”/নিয়ে নিতে ১৮ সদস্যের একটি দল সেখানে আসে। তারা ঘটনা কীভাবে ঘটাবেন সে বিষয়ে বেশ আগেই পরিকল্পনা করেছিল বলে জানা যায়। দুই দলে বিভক্ত হয়ে পুরোপুরি ফিল্মি স্টাইলে চার জ”’ঙ্গিকে অপহরণ করার চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চারজনের মধ্যে দুজনকে নিয়ে আদালতের মিশন শেষ করে আনসার আল ইসলাম।
সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে বড় ভাই ওরফে সাগর ওরফে মেজর জিয়া (বরখাস্ত মেজর) ছিলেন আনসার আল ইসলামের সা”মরিক শাখার নেতা যিনি চার জ’ঙ্গিকে অপহরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার নির্দেশে পুলিশের ওপর হা’মলা করে আসামিকে অপহ’রণ করার পরিকল্পনা করা হয়।
পালিয়ে যাওয়ার সময় দুই জ”ঙ্গিকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরাফাত রহমান (২৪) ও মো. এ. সবুর ওরফে রাজ ওরফে সাদ ওরফে সুজন (২১) পুলিশকে এসব তথ্য জানান।
কাউন্টার টেরো”রিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আয়মান ওরফে মশিউর রহমান সাম”রিক শাখার নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে সাগর ওরফে বড় ভাই ওরফে মেজর জিয়ার (বরখাস্ত মেজর) পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় আয়মান ওরফে মশিউর রহমান (৩৭), সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক (২৪), তানভীর ওরফে সামশেদ মিয়া ওরফে সাইফুল ওরফে তুষার বিশ্বাস (২৬), রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ওরফে সুমন (২৬) ও মো. ওমর ফারুক ওরফে নোমান ওরফে আলী ওরফে সাদ (২৮) পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে।
এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আনসার আল ইসলামের ৫/৬ অজ্ঞাতনামা সদস্য দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে অবস্থান নেয়। এছাড়াও আনসার আল ইসলামের অজ্ঞাত ১০/১২ জন সদস্য আদালতের আশপাশে এবং আদালতের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। এরপর আসামিকে পুলিশের হাত থেকে ছি’নিয়ে নেয় তারা।
মা’মলার এজাহারে বলা হয়, রোববার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে কাশিমপুর থেকে ১২ আসা’মিকে প্রিজন ভ্যানে করে ঢাকার আদালতে আনা হয়। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে আসা’মিদের ঢাকার প্রসিকিউশন বিভাগে হাজির করার জন্য সিজেএম কোর্ট ভবনের সন্ত্রা”/সবিরোধী ট্রাইব্যুনালে ৮ নম্বরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ মাম’লার শুনানি শেষে জামিনে আছেন ১৩ নম্বর আসামি মো. ঈদী আমিন (২৭) ও ১৪ নম্বর আসামি মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি (২৪) আদালত থেকে বের হন।
এরপর বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে আদালতের প্রধান ফটকে পৌঁছার ঠিক আগে দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে আনসার আল ইসলামের ৫/৬ জন সদস্য, আদালতের আশপাশে অবস্থানরত আনসার আল ইসলামের আরও ১০/১২ জন সদস্য হাম”লা চালায়। তারা কনস্টেবল আজাদের হেফাজতে থাকা আসামি মাইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত ওরফে সমীর ওরফে ইমরান (২৪), মো. আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪) মো. আরাফাত রহমান (২৪) ও মো. এ. সবুর ওরফে রাজু ওরফে সাদ ওরফে সুজনকে (২১) ছি’নিয়ে নিতে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের হ”/ত্যার উদ্দেশ্যে আক্র’মণ করে।
কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তাদের কাজে বাধা দিলে অভিযুক্তদের একজন তার হাতে লোহা কাটার যন্ত্র দিয়ে কনস্টেবল আজাদের মুখে আ”ঘাত করে।
গতকাল রবিবার অর্থাৎ ২০ নভেম্বর ছি”নিয়ে নেওয়ার ঘটনায় রাতের দিকে ২০ জনকে আসামি করার মাধ্যমে মা’মলা দায়ের করা হয় এবং সেই সাথে অজ্ঞাত আরো ৭-৮ জনকে ঘটনার আসামি করা হয়। মামলার বাদি হন জুলহাস উদ্দিন যিনি আদালতের পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।