মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া হলেন বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একজন প্রখ্যাত নেতা। দলের প্রতি সদা শ্রদ্ধাশীল থেকে নিরলসভাবে দলের জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। দলের হয়ে তিনি বিভিন্ন সময় তার গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রধান করে থাকেন। সম্প্রতি মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া তার এক বক্তব্যে বলেছেন বিরোধী দলেও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। বিরোধীদেরও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি থাকতে হবে। বিএনপি-জামায়াত জোট স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। তারা দেশের শত্রু, জাতীয় শত্রু। এগুলো পুরোপুরি বন্ধ না করা পর্যন্ত আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সোমবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘১৫ আগস্ট ২১ আগস্টের ধারাবাহিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভোটের মাধ্যমে নৌকা ব্র্যান্ডকে বিজয়ী করতে হবে জানিয়ে মোফাজ্জল হোসেন মায়া বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ২০২৪ সালের নির্বাচনে নৌকা ব্র্যান্ডকে ভোট দিতে হবে। স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকার, আলবদর, আল শামস কখনই ক্ষমতায় আসতে না পারে, সে জন্য ভোটের মাধ্যমে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করতে হবে।
অহির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে আল্লাহ রক্ষা করেছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার আগে পর্যন্ত আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের ১৯টি চেষ্টা হয়েছে। আমার মনে হয় গ্রে/’নেড হামলার দিন অহির মাধ্যমে একমাত্র আল্লাহ তাকে বাঁচিয়েছিলেন। নইলে সেদিন বাঁচার উপায় ছিল না।
বিএনপি নির্বাচনে বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এই প্রাণনাশ কাণ্ডের (২১ আগস্ট) ষড়যন্ত্রকারী জিয়ার রক্ত। তার স্ত্রী তারিক রহমান ও হাওয়া ভবন। এই পরিবার একটি প্রাণানশকারী পরিবার। তারা আইনে বিশ্বাস করে না, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তারা ভোটে বিশ্বাস করে না, তারা নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। তারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে প্রাণনাশ করে দেশকে ধ্বংস করে তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে চায়।
অন্যান্য বক্তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে মায়া বলেন, ২১শে আগস্টের ঘটনার নেপথ্যে যারা ছিল, তারা জীবিত হোক বা প্রয়াত, তাদের চিহ্নিত করে দেশ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নজরে আনতে হবে।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ ব্যানার্জির সভাপতিত্বে, সদস্য সচিব ড.মামুন আল মাহতাবের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড.হারুন অর রশিদ, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মো. মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.), ২১ আগস্ট গ্রে/’নেড হামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল কাহহার আকন্দ, তরুণ রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষক রাশেক রহমান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের স্লবাধীনতা যুদ্ধের সময় তার অসীম সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম উপাধী প্রদান করে। তিনি বাংলা মায়ের একজন বীর সন্তান। বাংলার মাটিতে তার মতো বীর সন্তান ছিল বলেই বাংলাদেশ আজ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয় পেয়েছে।