প্রেম-ভালোবাসা মানুষকে অন্ধকরে দেয় কথাটি অত্যন্তই সত্য। একজন সম্মানিত কলেজ শিক্ষিকা হয়েও খায়রুন নাহার প্রেমের টানে বিয়ে করেছিলেন কলেজছাত্র মামুনকে বিয়ে। তারই বলি হতে হলো শেষ পর্যন্ত কলেজ শিক্ষিকাকেই। সম্প্রতি জানা গেছে মামুন কেনো বিয়ে করেছিলো কলেজ শিক্ষিকাকে।
ছাত্রীকে বিয়ে করা বাংলাদেশি কলেজ শিক্ষকের নিথরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে নতুন তথ্য সামনে এসেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, টাকা নিয়ে খায়রুন নাহার নামে ওই শিক্ষকের সঙ্গে মনুনের ঝগড়া হয়। রোববার সকালে নাটোরের বল্লারীপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে খায়রুনের নিথরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে কলেজ শিক্ষক আত্মহনন করেছেন। এ ঘটনায় মামুনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বাংলাদেশের পুলিশ। নাটোরের পুলিশ সুপার রিটন কুমার সাহা জানান, মামুনের বিরুদ্ধে আত্মহননের প্ররোচনার অভিযোগ আনা হবে।
খুবজীপুরের এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহার, বিবাহিত ছাত্র মামুন (২২)। মামুন নাটোরের এনএস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ওই শিক্ষকের সঙ্গে গত বছরের জুন মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলাপ হয় মামুনের। গত বছরের ডিসেম্বরে ওই শিক্ষক মামুনকে বিয়ে করেন। জুলাই মাসে তাদের গোপন বিয়ের কথা ঘোষণা করা হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, আলোচনার জেরে ওই কলেজ শিক্ষক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহনন করেন। কিন্তু পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিশ সুপার জানান, মামুন তার আগের সঙ্গীর সন্তানকে খায়রুনের টাকা দিতে চাননি। এর জেরে বেশ কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। তারা যে স্থানে থাকতেন সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। খায়রুনকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কলেজ শিক্ষকের স্বজনরা। খায়রুনের ছোট চাচাতো ভাই ইউনুস আলীও দাবি করেন, মামুন তার স্ত্রীর কাছ থেকে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা নিয়েছেন। মামুন আরও টাকা নেওয়ার জন্য খায়রুনকে চাপ দিচ্ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, লোভ এমন একটি জিনিস যেটা ধ্বংস করে দিতে পারে সবকিছু। যেমনটা ঘটেছে খায়রুন নাহারের সাথে। জানা গেছে মামুন লোভে পড়েই খায়রুন নাহারকে বিয়ে করে এবং তার কাছ থেকে বড় অঙ্কের অর্থও হাতিয়ে নেয় মামুন।