এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গনভাবে খারাপ কাজ করেছে কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী। শুধু সেটা করেই ক্ষান্ত হয়নি, তাকে মারধর করা হয়েছে বলে জানা যায়। যার কারনে মেয়েটি গুরুতরভাবে আহত হয়েছে। খারাপ কাজ করার পর তাকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে যায় তারা। পরে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়লে তাকে সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এদিকে অভিযোগ পাওয়ার পর দেরি না করে অভিযুক্তদের বাড়িতে প্রশাসন অভিযান চালায় এবং বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের রেওয়া জেলার নয়গাড়িতে। জানা গিয়েছে, মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিল ১৬ বছরের কিশোরী। সেখান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাকে গনগর্হিত কাজ করা হয়।
পুলিশ জানায়, খারাপ কাজের সময় তাদের সংখ্যা ছিল ছয়জন। তাদের মধ্যে দুজন নাবালক। রোববার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি তিনজনের খোঁজ চলছে। তবে শা”স্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে আটক তিনজনের বাড়ি বুলডোজ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
তারা বলেন, বাড়িগুলো অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। তবে একই সঙ্গে রেওয়া প্রশাসন জানিয়েছে, বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলে তাদের বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে গণভাবে নারীদের সাথে খারাপ কাজ, ডাকাতি এবং নাবালিকাদের খারাপ কাজের হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। তবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগেই অভিযুক্তদের ‘শাস্তি’ দিয়ে দিলো প্রশাসন। তাদের বসতবাড়ির অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
এর আগে অপরাধীদের বাড়িতে বুলডোজার চালানোর নিয়ম চালু হয়েছিল উত্তরপ্রদেশে। বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ‘বিচারের আগে বিচার’ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নাম ‘বুলডোজার যোগী’। রবিবার, আরেকটি বিজেপি শাসিত রাজ্য, মধ্যপ্রদেশ, প্রশাসনকে একই রকম ব্যবস্থা নিতে দেখেছে।
শনিবার ঘটনার পরপরই ওই তরুণীর এক পুরুষ বন্ধু পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি পুলিশকে জানান, ওই দিন দুপুরে তাঁরা দুজনেই মন্দিরে যান। পূজার পর তারা মন্দির চত্বরের এক প্রান্তে বসে গল্প করছিলেন। এ সময় ওই ছয়জন ওই দুইজনের ওপর হাম”লা চালায়। মেয়েটিকে তার বন্ধুর সামনে মন্দির চত্বর থেকে নির্জন এলাকায় টেনে নিয়ে যায়।
অভিযোগকারী পুলিশকে জানিয়েছেন, তারা দুজনেই তাদেরকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য কাকুতি মিনতি আবেদন করেছিলেন। কিন্তু দুর্বৃত্তরা তাদের কথায় কর্ণপাত করেনি। মেয়েটিকে অব্যাহত নি”/র্যাত”নের পর খারাপ কাজ করা ব্যক্তিরা তাকে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায়। যাওয়ার আগে দুজনকেই প্রাণনা’শের হুমকি দেওয়া হয়।
পুলিশ খবর পাওয়ার পর সেখান থেকে মেয়েটিকে বেশ খারাপ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে। অন্য তিনজন আসামীকে ধরার জন্য পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। খুব শীঘ্রই তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পুলিশ কর্মকর্তারা। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।