সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের পরিমান বেড়ে যাওয়ায় নারীদের হয়”রানী এবং কুপ্রস্তাবের বিষয়টি দিন দিন বেড়ে চলেছে। মাঝে মাঝে পুলিশ কর্মকর্তাদের কুকর্মের বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসে, যেটা দিন দিন বেরে চলেছে। এবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় আটক হলেন মেহেদী হাসান নামে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই)।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (প্রশাসন) বিপ্লব মিস্ত্রী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাতে তাকে গ্রে’ফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে বরিশাল নগরীর বাংলাবাজার এলাকায় পর্যটকবাহী একটি মাইক্রোবাসে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে কয়েকজন ব্যক্তি তল্লাশি চালায়। এ সময় মাইক্রোবাসে ১১ জন যাত্রী ছিলেন। পরে মামলা ও গ্রেফ’তারের ভয় দেখিয়ে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এ সময় দর কষাকষির পর ডিবি পুলিশের চিহ্নিত ব্যক্তিরা ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিতে রাজি হয়। যাত্রীরা পরে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করেন। ঘটনার একদিন পর মাইক্রোবাসের এক যাত্রী বিষয়টি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানান। পরে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
এদিকে ঘটনাস্থল ও আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম খলিলকে শনাক্ত করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (প্রশাসন) বিপ্লব মিস্ত্রি জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে সাময়িক বরখাস্তের পর তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়।
তিনি আরও বলেন, হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেয়েকে আপ’ত্তিকর ছবি পাঠানোর অভিযোগে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। পরে এ মামলায় তাকে গ্রেফ’তার করা হয়।
তাকে আটক করার পর তার বিষয়ে তদন্ত করা শুরু হয়েছে বলে জানা যায়। এদিকে তার বিরুদ্ধে আরো কয়েকজন নারীর সাথে একই ধরনের কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। একজন পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে কীভাবে তিনি এমন কাজ করলেন সে বিষয়ে অনেকে সমালোচনা করেন।