Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / কিভাবে মেরেছে ছাত্রলীগ বর্ণনা দিলেন ইশরাক,এক পর্যায়ে বলেছিলেন,’আমাকে মারতে মারতে মেরে ফেল’

কিভাবে মেরেছে ছাত্রলীগ বর্ণনা দিলেন ইশরাক,এক পর্যায়ে বলেছিলেন,’আমাকে মারতে মারতে মেরে ফেল’

অবিভক্ত ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকার পুত্র ইশরাক হোসেন। বর্তমানে তিনি পুরোপুরি ভাবে করছেন রাজনীতি। আর এই তরুণ বয়সে রাজনীতি করতে এসে বেশ বিপাকে রয়েছেন তিনি। রাজনীতির মাঠে তিনি প্রতিনিয়তই তাকে হতে হচ্ছে নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার।সম্প্রতি পুরান ঢাকায় লিফলেট বিতরণের সময় আবারো হাম**লার শিকার হয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ১নং সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।

রোববার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সামনে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তার ওপর হামলা চালায়। ছাত্রদলের পাল্টা হামলায় সেখানে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। আহত হয়েছেন ৩০ জন।

ইশরাক হোসেন এ হামলার জন্য জবি ছাত্রলীগকে দায়ী করে বলেন, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা সেখানে লিফলেট বিতরণ করতে গেলে ছাত্রলীগ নেতাদের নেতৃত্বে কয়েকজন স**ন্ত্রাসী ইট, রড ও হকি স্টিক নিয়ে আমাদের ওপর হা**মলা চালায়। তাদের কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।

ইশরাক হোসেন আরো জানান, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাকে শেষ করার উদ্দেশ্যে দেশীয় অ**স্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। পুলিশের সামনে তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগকে থামানোর পরিবর্তে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করেছে। পরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান ইশরাক হোসেন।

সেখানে ইশরাক বলেন, যত হামলাই হোক না কেন, যেকোনো মূল্যে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ সফল করব। দুপুর ১টার দিকে গোপীবাগ থেকে ইশরাক লিফলেট বিতরণ শুরু করেন। গণসংযোগের মাধ্যমে মিছিলটি রাজধানীর ওয়ারী, বংশাল, রথখোলা মোড়, রায়সাহেব বাজার ও ইসলামপুর হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় তিনি পুরান ঢাকার ওয়ারী থানা, বংশাল ও কোতোয়ালি থানায় যান এবং সমাবেশ উপলক্ষে নেতাকর্মীদের হয়রানি না করার জন্য দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী দাবি করেছেন, ইশরাক হোসেনের কর্মীদের হামলায় তাদের ১০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ক্যাম্পাসের পরিবেশ শান্ত রয়েছে। প্রক্টরিয়াল বডি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, একটা সময়ে পড়া শুনার কারনে বিদেশে ছিলেন ইশরাক।বাবার মৃত্যুর পরে চলে আসেন তিনি দেশে। এরপর পুরোদস্তর যোগদান করেন বিএনপির রাজনীতিতে।

About Rasel Khalifa

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *