তাজুল ইসলাম হলেন বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবীদ এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। এই সম্মানীয় পদে আসীন হবার পর থেকে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি কুমিল্লা-৯ আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে দেশ কিভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে সেইটা জানতে চেয়েছেন।
যারা বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে গেছে বলে সমালোচনা করছেন তাদের কাছে প্রমাণ চেয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। শনিবার সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ সমিতি আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ শেষ হয়েছে নাকি ধ্বংস হয়েছে, যারা মানবতা হারিয়েছে বলে চিৎকার করছেন, তারা প্রমাণ করুন দেশ কীভাবে শেষ হলো।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছিলেন, মানুষের মুখে হাসি ফোটাবেন বলে। সেই স্বপ্ন পূরণে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর স্বাধীনতা বিরোধী দল মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে যে দেশ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। যতদিন দেশ শেখ হাসিনার হাতে থাকবে ততদিন বাংলাদেশ পথ হারাবে না।
আন্দোলনের নামে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে কেউ হামলা, ভাংচুর ও বোমাবাজি করে জনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আন্দোলন একটি গণতান্ত্রিক অধিকার, কিন্তু এই অধিকারের নামে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে মানুষের জীবন দুর্বিষহ করার অধিকার কারো নেই।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সারা বিশ্বের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে আমাদের দেশের মানুষের ওপরও। করোনা সংকটের পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জেরে বিশ্বে অস্থিরতা বিরাজ করছে। আসন্ন সংকট মোকাবিলায় জ্বালানির দাম বাড়ানো হয়েছে। এটা সাময়িক। এই সংকট মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
‘মিডিয়া প্রচার করছে যে যুক্তরাজ্যের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাবে। আরও অনেক দেশে সংকট তৈরি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পরিবেশ এবং অন্যান্য দেশের পরিবেশগত পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে এটা অস্বীকার করা যাবে না যে আমরা ভালো করছি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়ন সহযোগী দেশ/সংস্থা ঋণ দিতে আগ্রহী কারণ বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা রয়েছে। দেশের ঋণ শোধ করতে না পারলে কেউ জেনেশুনে টাকা দেবে না। বাংলাদেশ আবার শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে জেনেও কেউ ঋণ দেওয়ার কথা ভাববে না।
তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে হলে শিল্প-কারখানা প্রয়োজন। এর জন্য বিদ্যুৎ প্রয়োজন। শেখ হাসিনার সরকার দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে। একটি গোষ্ঠী এই অর্জনগুলি পছন্দ করে না।
“যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, যারা দেশের উন্নয়ন চায় না, যারা দেশকে ধ্বংস করতে চায় তাদের পক্ষে কথা বলতে পেরে তারা খুশি।”
প্রসঙ্গত, দেশের বর্তমান যে অবস্থা তাতে দেশের মানুষ মনে করছে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই। দেশে সবকিছুর দাম ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সাধারণ মানুষ সম্পূর্ণভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তবে সরকার এই সমস্যা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে।