বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের উন্নয়নের জন্য নানা ধরনের পরকল্পনা করেছে। আর এই প্রকল্পগুলোর ফল ভোগ করছে দেশের জনগন। প্রকল্পগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে বলে সরকারে পক্ষ থেকে বলা হয়ে থাকে। কিন্তু সম্প্রতি লোডশেডিং কারনে জন জীবনে যে দুভোগের সৃষ্টি হওয়ায় না্না ধরনের প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। এবার বিদ্যুৎ বিষয়ে নিয়ে যে মন্তব্য করলেন পিনাকী ভট্টাচার্য।
লোড শেডিং কেন হচ্ছে এটা খুজতে গিয়ে যা বুঝলাম, তা হচ্ছে বাংলাদেশ নেহাৎই খোদাতায়ালার দয়ায় চলতেছে।। কারণ টুসমারানি যে সমস্ত লোক দিয়ে সরকার চালায় তারা সম্পূর্ণ অকেজো। টুসমারানির কোন বিদ্যুৎ নীতি নাই, কোন পরিকল্পনা নাই। যা যা প্ল্যান করছে সব ফেইল করছে। বাংলাদেশে এত বুদ্ধিজীবী আছেন, কেউ বলতে পারছেন না কোথায় টুসমারানি বিদ্যুৎ খাতে সমস্যা সৃষ্টি করছে। এই গাড্ডা থেকে সহসা মুক্তি পাবেন বলে মনে হচ্ছেনা। বিদ্যুতের সংকট গভীর ও নিরাময়যোগ্য যোগ্য না। আর এটি ইউক্রেনের যু/দ্ধের কারণে নয়। একদম কাচা মিছা কথা এইটা। দুঃখিত আমি কোন আশা শুনতে পারিনি। তবে ঠিক কোথায় কোথায় ঝামেলা হয়েছে তা নিয়ে একটা ভিডিও দিতে পারবো আশা করি আগামীকাল। আরেকটি বিষয় আবিষ্কার করে বিস্মিত হলাম যে, বাংলাদেশের অর্ধেকের বেশি বিদ্যুত অভ্যন্তরীণ কাজে ব্যবহৃত হয়। মানে ঘরে লাইট জ্বালানো, ফ্রিজ চালানো, এসি চালানো। শিল্পে ব্যবহৃত হয় ডমেস্টিক ইউজের অর্ধেক। এটি একটি ভয়ঙ্কর ছবি। বিশ বছর আগে, চিত্রটি ছিল উল্ট মানে বিদ্যুতের অর্ধেকের বেশী কনজিউম করতো শিল্প, ডমেস্টিক ইউজ হতো ইন্ডাস্ট্রির অর্ধেক। এসেটাই হওয়ার কথা, সারা দুনিয়াতে বিদ্যুতের মুল কনজিউমার ইন্ডাস্ট্রি। এনার্জি মানেই ইকোনোমি। তার মানে এই এনার্জি ভোগে লাগছে উৎপাদনে না।
আপনাদের কষ্ট এবং হতাশার জন্য আমার আন্তরিক সমবেদনা থাকলো। কিন্তু কী আর করবেন বলেন, টুসমারানির তো বিকল্প নাই।
প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ বিষয়ে যে অব্যবস্থাপনার চিত্র ভেসে উঠেছে সে সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় যে সংকট তৈরী হয়েছে তা থেকে সহসা মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।