Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / কিন্তু এখন এক নেতার এক দেশ হয়ে গিয়েছে: মেয়র আইভী

কিন্তু এখন এক নেতার এক দেশ হয়ে গিয়েছে: মেয়র আইভী

ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি যিনি কৃষি মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য হিসেবে রয়েছেন তিনি বিএনপি’র অতীত কর্মকান্ড স্মরন করিয়ে দিয়ে বলেন, গেল ১৩ বছর ধরে বিএনপি আন্দোলনের নাম করে দেশে সাধারণ মানুষকে হ”/ত্যা এবং পুড়িয়ে মে”রেছে। যার কারণে বিএনপি এখন অতল গহ্বরে নিপতিত হয়েছে। তারা কোন রকম তাদের নাকটি ভাসিয়ে জীবন রক্ষা করছে। তারপরও যদি তারা না শোধরায় এবং সঠিক পথে না আসে, যদি তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতার চেতনা-আদর্শের রাজনীতি না করে, তাহলে ভাসমান নাকও ডুবে যাবে। খাদ থেকে আর বের হতে পারবে না।

শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নানা ষড়য’ন্ত্র করছে। তারা আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। চূড়ান্ত লড়াই, আমরণ লড়াইয়ের হুমকি দিচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আমি বলতে চাই বিএনপি এখন পর্যন্ত কোনো লড়াইয়ে জিততে পারেনি এবং ভবিষ্যতেও জিততে পারবে না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ কখনো লড়াইয়ে হারে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হারে না।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করুন। এছাড়া ক্ষমতায় যাওয়ার দ্বিতীয় কোনো পথ নেই।

তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা দলের স্তম্ভ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধ থাকলে তা ভুলে যেতে হবে। দলের আদর্শই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, ত্যাগ ও সাহস আমাদের শক্তি। আর দলের নেতৃত্ব নেত্রী শেখ হাসিনার হাতে। আমাদের সকল নেতা-কর্মীকে এ দুটিকে আঁকড়ে ধরে কাজ করতে হবে। তাহলে আগামী নির্বাচনে কোনো শক্তি আওয়ামী লীগকে হারাতে পারবে না। শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় আসবেন ইনশাআল্লাহ।

মন্ত্রী নেতাকর্মীদের আন্দোলন-সংগ্রামের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকুন। বিএনপি-জামায়াত দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইলে আমরা রাজপথে তার বিরুদ্ধে লড়াই করব। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও সহযোগিতা করব।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে দুর্নীতিবাজদের কোনো স্থান হবে না। দেশের মানুষ খুশি হলে শেখ হাসিনা খুশি। বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুরুতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন-ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেন, এখনো অনেকে পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলে। অনেকেই বলছেন অবস্থান পরিষ্কার করুন। কয়েকদিন আগে নারায়ণগঞ্জে জনসভা ডেকেছি। অনেকের ভালো লাগেনি। তারা বলেছিল শামীম ওসমানের জনসভা। আমি শেখ হাসিনার কর্মী শেখ হাসিনার কর্মী হয়েই মরতে চাই। ভাইদের মধ্যে অনেক ঝগড়া হয়। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আসুন আমরা ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ হই। কারণ বাংলাদেশকে বাঁচাতে হবে। তাই শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে হবে। আমরা সব অপশক্তির বিরুদ্ধে খেলব।

শামীম ওসমান বলেন, সামনে আঘাত আসবে। এই আঘাত মোকাবেলায় একটি সুশৃঙ্খল দল দরকার। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ সোনারগাঁও গড়ব। প্রয়োজনে ঘরে ঘরে কাজ করব।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, বিগত দিনে আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জবাসীর ভূমিকা সব সময়েই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। জোহা চুনকার মিছিল এ জেলা থেকে না গেলে ঢাকার জনসভা হতো না। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ এখন এক নেতার দেশে পরিণত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের নেতাদের বলছি সবাইকে সমান সম্মান দিতে হবে। এই দলের অস্তিত্ব তৃণমূলের জন্য। দুঃসময়ে যারা দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের অসম্মান করার অধিকার নারায়ণগঞ্জের কোনো বড় নেতার নেই। শুধু আওয়ামী লীগ আমলে যারা ছিলেন তাদের নিয়োগ দেওয়া উচিত নয়। বরং যারা কষ্টে ছিলেন তারাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক।

আইভী আরও বলেন, সোনারগাঁয়ে এমন কী হয়েছে যে, জাতীয় পার্টিকে বারবার এখান থেকে ছাড়তে হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে নয়, কারণ জোহা চাচার ছেলেকে (নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান) দিতে হবে। কিন্তু সোনারগাঁয়ে যার নাম ছিল না, লক্ষ্য ছিল না, তাকে কেন দেওয়া হবে। নারায়ণগঞ্জের হস্তক্ষেপে সোনারগাঁয়ের আওয়ামী লীগ নেতারা মাথা তুলতে পারছেন না। এখন অনেকেই তমুক ভাইয়ের নামে স্লোগান দেয়। কিন্তু ক্ষমতা না থাকলে কেউ নেই। তাই আমাদের দল ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে স্লোগান দিতে হবে।

মির্জা আজম এমপি যিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন তিনি বলেন, আমি যাচাই-বাছাই করে একজন যোগ্য প্রার্থীকে দিয়েছিলাম কিন্তু গ্রুপিং করে ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় আমার বিরুদ্ধে। যার কারণে তারা নৌকাকে ডুবিয়েছে। সেই হিসেবে বলবো জাতীয় পার্টি প্রশংসার দাবিদার। দলটি তাদের নিজেদের নীতি থেকে এক চুল নড়েনি। সেদিক থেকে তাদের নীতি রয়েছে বলতে হয়।

About bisso Jit

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *