কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ হলেন বাংলাদেশের একজন বীর সন্তান। তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই সম্মানীয় পদে অধিষ্ঠিত হবার পর থেকে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ড. অলি আহমদ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বীরত্বের পরিচয় দেওয়াতে বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম উপাধিতে ভূষিত করেছেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের ব্যাপারে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী দু’কলসি পানি এনেছেন এটাই বড় অর্জন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর ও এ বিষয়ে তার সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ।। সাংবাদিক সম্মেলনে আলী আহমেদ মন্তব্য করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দুই কলস পানি এনেছেন, যা অনেক বড় অর্জন।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক আলোচনা সভায় যোগ দেন কর্নেল অলি। সেখানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এলডিপি সভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সরাসরি কোনো জবাব দেননি। তিনি মাঝে মাঝে বেগম জিয়াকে গালিগালাজ করেন। অন্য সময় অন্য কথা বলে পাশ কাটিয়েছেন। দুই জগ পানি আনাই এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন। ভারত যে আশা নিয়ে গিয়েছিল তা পূরণ হয়নি। আজ মিথ্যা বলা নিত্যদিনের ঘটনা।
অলি আহমেদ বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ভারতে গিয়ে সুজাতা সিংকে নিয়োগ দিয়েছিলেন। এরপর তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়োগ দেন। তারা আওয়ামী লীগকে সরকারে ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু এখন সে অবস্থা নেই। এখন ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান বদলেছে।
নির্বাচন কমিশনকে চোরের বাক্স বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ভোট চুরি করা ভালো পদ্ধতি। এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কেয়ামত পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কখনোই ৫০টির বেশি আসন পাবে না। আওয়ামী লীগের জন্মের পর থেকে তারা কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়নি।
কর্নেল অলি আরও বলেন, যে কোনো সময়ে মানুষের রাজনৈতিক, সামাজিক, মানবিক, অর্থনৈতিক, অবাধ বিচরণ ও সাংবাদিকতার অধিকার ছিল তাদের মতামত প্রকাশের। ২০০৯ সাল থেকে, সরকার ধীরে ধীরে সমস্ত অধিকার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে সংসদে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কোথাও না বসে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছেন। আওয়ামী লীগ ও দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না। আর বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীরা বাংলাদেশের কোথাও ঘরোয়া বৈঠক করতে পারবেন না। প্রেসক্লাব ছাড়া অন্য কোথাও সভা করতে চাইলে পুলিশের অনুমতি লাগবে। অর্থাৎ পুলিশ যেভাবে চালায় বাংলাদেশকে সেভাবে চালাতে হবে।
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে এলডিপি।
প্রসঙ্গত, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক বরাবরই ভালো একটা অবস্থায় বিরাজমান রয়েছে। ভালো একটি সম্পর্ক তৈরি করা যতটা সহজ মনে হয় ততটা সহজ না। এর জন্য দরকার হয় সুবিচক্ষণতা ও দক্ষটা যেটা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি তার অসীম যোগ্যতার দ্বারাই অসম্ভবকে করেছেন সম্ভব। তাই তার কাছে বাংলার মানুষ সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে।