দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে তফশিল ঘোষণা করেছে ইসি। যদিও ইসির পক্ষ থেকে সাংবিধানের দোহাই দেওয়া হচ্ছে। অথচ তারা সরকারের একতরফা এজেণ্ডা পালনের দায়িত্ব নিয়েছে বলে বিভিন্ন মহলে মন্তব্য করেছে। সরকার যে আবারও একটা পাতানো নির্বাচন করতে যাচ্ছে তা বলার উপেক্ষা রাখে না কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দেখে অস্বীকার করার উপায় নেই যে তারা আজ্ঞাবহ কমিশন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে যেই কথাটা সবচেয়ে বেশী শুনতাম তা হচ্ছে, “কিছুই হবেনা, কতো আন্দোলন দেখলাম”। এরা ইফেক্টিভ্লি যেটা করতে পারতো সেটা হচ্ছে, যারা ফাইট করতেছে, তাদের মরাল ডাউন করে দেয়া।
“কিছুই হবেনা” দের সাথে এরশাদ পতনের পরেও দেখা হইছে। কারো মধ্যেই আমি গ্লানি দেখি নাই। তখন বিএনপি ক্ষমতায়। আর তাদের বেশীরভাগই তখন বিএনপি করে। পারলে আমাদের দৌড়ানি দেয়। আবার ছিয়ানব্বই আসলো, এই “কিছুই হবেনা” দের বেশীরভাগই আওয়ামী লীগ সাপোর্টার হইয়া গেলো। আজ জানিনা তারা কোথায়।
যেকোন অবস্থায় আপনি মোটামুটি এক তৃতীয়াংশ মানুষ পাবেন যারা রেসিস্টেন্ট টু চেইঞ্জ। যারা বদল চায়না। শুধু না চাইলে সমস্যা ছিলোনা, তারা সক্রিয় ভাবে বাধা দেয় পরিবর্তনকে। যেকোন রেজিমের জন্য এরা খুব ভ্যালুয়েবল এসেট। তারা তার দল করেনা হয়তো সরাসরি, কিন্তু তার ক্ষমতা টিকায়ে রাখার জন্য যা করার করবে। এদের নিউট্রালাইজ করাটা জরুরি। দুইটা জিনিস এদের জন্য ভালো কাজ করে। এক অপমান আর দুই ভয়। এদের অপমান করবেন হাসিনার লোক বলে, আর ভয় দেখাবেন যে গনেশ উল্টাইলে সবচেয়ে বড় বাম্বু তুমিই খাবা, কারণ তুমি সহজ টার্গেট। ঠাসি খ্যায়া থাকো মামু, বেশী ফাল দিও না।