শাকিব খান হলো বাংলাদেশের চলচিত্রের সবথেকে জনপ্রিয় নায়ক এবং তাকে কিং বলে অভিহিত করা হয়। সাকিব খান তার অভিনয়ের শুরু থেকেই দর্শকদের দিয়ে আসছে নয়নাভিরাম ও মানসম্পন্ন সুন্দর সুন্দর সিনেমা। সম্প্রতি জানা গেছে সাকিব খান আমেরিকার গ্রীন কার্ড পেয়েছে এবং সেই সাথে জানা গেল আরো একটি খবর তা হলো সাকিব খান এবারের ঈদুল আযাহার ঈদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই উদযাপন করবেন।
দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। আর মাত্র দুই দিন বাকি। ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। এই সুখ-আনন্দ ছুঁয়ে যায় তারকাদেরও। তাদেরও নানা পরিকল্পনা রয়েছে। কোথায় ঈদ উদযাপন করবেন, কোথায় যাবেন, কী পরবেন ইত্যাদি এসবের মধ্যে পেশাগত কাজের ব্যস্ততাও রয়েছে।
এদিকে ঢাকাই চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান গত আট মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। সেখানেই তিনি ঈদুল ফিতর কাটিয়েছেন। তবে ঈদের আগে দেশে আসছিলেন তিনি।
শাকিবের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, সাকিব ৭ জুলাই বাংলাদেশে আসবেন। ৮ জুন ঢাকায় পৌঁছাবেন। ঈদ উদযাপনের পর বেশিদিন পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে থাকবেন না। জুলাইয়ের শেষে আবারও যুক্তরাষ্ট্রে উড়াল দেবেন ঢালিউড কিং।
তবে ঈদের দুই দিন আগে শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, আবারও মত বদল করেছেন শাকিব খান। যুক্তরাষ্ট্রেই উদযাপন করবেন ঈদুল আজহা।
নায়কের কাছের লোকজন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঈদের আগে দেশে আসতে চেয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন শাকিব খান। ঈদের পর আমেরিকায় শুরু হবে এই নায়কের নতুন ছবি ‘প্রিন্স’-এর শুটিং। এবারের ঈদ জো বিডেনের দেশেই কাটাবেন কিং খান। জানা গেছে, শাকিব খানের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। সম্প্রতি তিনি যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেয়েছেন। সূত্র জানায়, নিয়ম অনুযায়ী শাকিব খান এরই মধ্যে গ্রিনকার্ড পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে তার ছয় মাসের অবস্থানও পূরণ হয়েছে। সর্বশেষ প্রিন্ট করা কার্ডটিও তিনি পেয়েছেন।
গত বছরের নভেম্বরে দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান সাকিব। যান এবং একটি গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করুন। শর্তসাপেক্ষে টানা সাত মাস নিউইয়র্কে বসবাস করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সাকিব খান সব সময়ই তার কাজ সম্পর্কে খুবই যত্নশীল। দর্শকরা যাতে মনক্ষুন্ন না হয় তার সিনেমা দেখে সেই দিকটা তিনি খুবই নজর রাখেন। শুধুমাত্র বাংলাদেশে নয় বরং বিদেশের মাটিতে অভিনয় করেও তিনি ফেলেছেন প্রচুর সাড়া। তার মত অভিনেতা পাওয়া সত্যিই অনেক ভাগ্যের ব্যাপার।