Saturday , September 21 2024
Breaking News
Home / Countrywide / কায়সার ভোটে ভাগ বসাবে, সকল প্রস্তুতি নিয়েই এবার মাঠে নেমেছি: সাক্কু

কায়সার ভোটে ভাগ বসাবে, সকল প্রস্তুতি নিয়েই এবার মাঠে নেমেছি: সাক্কু

বিএনপি থেকে পদত্যগের পর থেকে সাক্কুকে নিয়ে অনেক রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে মিশ্র পতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আসন্ন কুমিল্লা ( Comilla ) সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাক্কু অংশগ্রহন করার বিএনপির বিশেষ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তিনি দল (বিএনপি) থেকে পদত্যাগ করে মেয়র পদপ্রার্থী হলফনামা জমা দেন। এই বিষয় গুলো নিয়ে তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি হয় রানৈতীকনেতাদের মধ্যে।

২০১৬ সালের ৩০ মার্চ কুমিল্লা ( Comilla ) সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির দুই গ্রুপের ঐক্য ভোটে দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন মনিরুল হক ( Monirul Haque ) সাক্কু। দলের তরুণ নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার নির্বাচনে বিভক্তির দেয়াল তৈরি করে সাক্কু মেয়র হন। কুমিল্লা ( Comilla ) সিটি করপোরেশনের কুসিক ( Cusic ) নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ না নিতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে কুমিল্লা ( Comilla ) দক্ষিণ জেলা বিএনপি। ( BNP ) শনিবার রাত ১০টার ( Saturday 10 p.m. ) দিকে কুমিল্লা ( Comilla ) দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি বেগম রাবেয়া চৌধুরী ( Begum Rabeya Chowdhury ) ও সাধারণ সম্পাদক আমিন উর রশিদ ইয়াসিন ( Amin Ur Rashid Yassin ) স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে বিএনপির দুই প্রার্থীর বিষয়টি বিবেচনায় নিচ্ছেন না আওয়ামী লীগ ( Awami League ) মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক ( Arfanul Haque ) রিফাত। তার মতে, নগরীর ২৬টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত। এখানে আওয়ামী লীগ ( Awami League )ের ভোট ভাগ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

তিনি কায়সার জেলা বিএনপির বৃহৎ ও মূলধারার সাধারণ সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াসিন (হাজী ইয়াসিন) এর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, যাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল। সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগরের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের অনুরোধে তিনি প্রার্থী হয়েছেন। সাক্কু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১৭ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনী মাঠে কাজ করেছিল, মনিরুল হক সাক্কুকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে মেয়র বানিয়েছিলেন। আর সেই মেয়র গত ৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের প্রশংসায় ব্যস্ত ছিলেন। নিজ দলের নেতাকর্মীদের নানাভাবে হয়রানির নেপথ্যে ছিলেন তিনি। গত ৫ বছরে দলে বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। এবার তাকে বয়কট করবে তৃণমূল বিএনপি। ২০১৬ সালের ভোটকেন্দ্র এবং ২০২২ সালের ভোট কেন্দ্র এক নয়।

এদিকে শনিবার রাতে দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী দল থেকে বহিষ্কৃত সাক্কু ও কায়সার নির্বাচনে অংশ না নিলেও পরোক্ষভাবে তাদের দুজনের পক্ষেই কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির একাধিক নেতা। তবে এবার একই দলের দুই প্রার্থী থাকায় এ সুযোগ নেবেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।

অপরদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য আকম বাহাউদ্দিন বাহারের নির্দেশনা ও দূরদর্শিতায় মহানগর আওয়ামী লীগ অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে সুসংগঠিত। তৃণমূলের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে নগরীর ২৬টি ওয়ার্ডে মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এবারের সিটি নির্বাচনে সকল ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা দলীয় প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে বিজয় নিশ্চিত করবেন বলে আশাবাদী মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা।

দলের মধ্যে যতই ব্যক্তিগত বিরোধ থাকুক না কেন, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে দলের স্বার্থ ও দলীয় প্রতীকের মর্যাদা রক্ষায় সব কিছুর ঊর্ধ্বে লড়াই শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠেয় কুমিল্লা সিটি নির্বাচনকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, বিলুপ্ত কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান ও সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে দুই ব্যক্তি রয়েছেন। গত ৩২ বছর ধরে বিএনপি দলের। ৩২ বছর আগে আকম বাহাউদ্দিন বাহার বিলুপ্ত কুমিল্লা পৌরসভার দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর আওয়ামী লীগের কেউ চেয়ারম্যান বা মেয়র হতে পারেননি। এবার সময় এসেছে উন্নয়নের রোডম্যাপে নগর কুমিল্লাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে নিয়ে যাওয়ার।

এদিকে, নগরীতে গুঞ্জন ছড়াচ্ছে সাক্কু ২৬ মে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারেন। এমন গুজবের জবাবে সাক্কু গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি নির্বাচনের মাঠে আছেন এবং থাকবেন। নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় বিএনপির কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল হককে (সাক্কু) আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের মনিরুলের সঙ্গে যোগাযোগ না করতে বলা হয়েছে। এছাড়া কুমিল্লা মহানগর সভাপতি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সারকে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ার পর বিকেলে মনিরুল ও বিকেলে নিজাম দল থেকে পদত্যাগ করেন।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় মনিরুল হক ও মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের কোনো নেতা তাদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলে এটা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সাংগঠনিক বিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন দুই সক্রিয় মেয়র প্রার্থী মনিরুল ও নিজাম। ২৮ মে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ২৬ মে প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হবে প্রচারণা।

নির্বচনে অংশ নেয়ার পরেও তিনি তার দলকে বিন্দু মাত্র ভোলেনি। আর্শিবদ নিতে দলীয় নেত্রী বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরীর বাসায় যান। বিএনপি এই নেত্রী সাক্কুর মাথায় হাত রেখে দোয়াও করেণ। যে দৃশ্য কম্যমেরা বন্ধি করে যোগাযোগ মাধ্যমেও আপলোড করেন এক অজ্ঞাত ব্যক্তি।

About Nasimul Islam

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *