সম্প্রতি বিএনপির ( BNP ) চেয়ারপারচনকে উদ্দেশ্যকে করে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কেন্দ্র করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঢাবি ক্যাম্পাসে মিছিল করতে গেলে ছাত্রলীগের ( Chhatra League ) নেতাকর্মীরা তাদের মারধর করেন। এতে মিছিলে থাকা ছাত্রনেত্রীদেরও মারধর করেন ছাত্রলীগ কর্মীরা। পরে বিষয়টি নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেওয়া হয় বিএনপি ও আওয়ামীলী ( Awami League ) থেকে। সভ্য দেশে মেয়েদের প্রকাশ্য মারধর করা লজ্জাজনক বলে অনেকে মন্তব্য করে থাকেন।
কয়েকদিন আগে নরসিংদী রেলস্টেশনে ঢাকাগামী চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন দুই যুবক ও এক তরুণী। মেয়েটির পরনে জিন্স এবং টপস। এটা দেখে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা এক মহিলা প্রথমে মেয়েটিকে ধাক্কা দেন এবং পরে আরও কয়েকজন তাকে আক্রমণ করার চেষ্টা করেন। এরপর ওই তরুণী দৌড়ে স্টেশন মাস্টারের কক্ষে আশ্রয় নেন। এ সময় তার সঙ্গীরাও হয়রানির শিকার হয়। আপনি বাংলাদেশের মানুষকে অশিক্ষিত, পিছিয়ে পড়া বলছেন। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আজ শিক্ষা ও সচেতনতায় পিছিয়ে থাকলে দায়ী কে? আপনারাই তো সমাজের মাথা, আপনারাই তো সমাজের সব নীতি মুল্যবোধ ঠিক করেন। কারো লাঠির বাাড় যদি খেতেই হয়, তাহলে সেটা আপনার প্রাপ্য। নরসিংদির ঘটনার জন্য যদি লজ্জা পেতে হয় তাহলে তো আপনারই সেটা পাওয়া উচিৎ।
প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা যেভাবে ছাত্রনেত্রীদের মারধর করেছে সেটা লজ্জাজনক। দেশের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে থেকে এটা প্রত্যাশা করে না দেশের মানুষ। রাজনীতিতে আন্দোলনের নামে এমন কর্মকান্ড সুফল বয়ে আনবে না বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।