ড. এ কে আব্দুল মোমেন হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এই সম্মানীয় পদে অধিষ্ঠিত হবার পর তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তবে তার একের পর এক বেঁফাস কথার জন্য সম্প্রতি তাকে নিয়ে শোনা যাচ্ছে অনেক সমালোচনা। জানা গেছে তার এই অস্বাভাবিক আচরণের কারণে তাকে পদত্যাগ করতে লিগাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বোকার মতো মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী খুব একা হয়ে গেছেন। এ কে আব্দুল মোমেন। বিষয়টি নিয়ে ভারতের খোলামেলা বক্তব্য ক্ষমতাসীন দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাকে দলের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিতে রাজি নয়।
শনিবার (২০ আগস্ট) দলের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান সাফ জানিয়ে দেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দলের সদস্য নন। এরপর একই কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।
তিনি বলেন, আবদুল মোমেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হলেও দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য না থাকায় তাকে বিদেশে গিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কিছু বলার দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, কেউ বিদেশে গিয়ে কারও সঙ্গে কথা বললে সেটা দলের দায়িত্ব নয়। দায়িত্বশীল পদে থাকা ব্যক্তিদের আরও সতর্কতার সাথে কথা বলতে হবে।
এদিকে শপথ ভঙ্গ ও সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। এরশাদ হোসেন রাশেদ।
তিনি বলেন, শপথ পাঠকালে তিনি বলেন, সংবিধানের প্রতি পূর্ণ আস্থা, বিশ্বাস, সমর্থন ও নিরাপত্তা দেবেন। কিন্তু তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন। তাই তাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ হলো অনেক উচ্চপর্যায়ের সম্মানীয় এলটি পদ। এমন পদে দায়িত্বরত থেকে ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমন অস্বাভাবিক কথা বলবেন একের পর এক সেটা কেউ ধারণাও করতে পারেনি। তিনি বেফাঁস কথা বলে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন বলে জানা যায়।