প্রায় ১৫ মাস কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী খাদিজাতুল কুবরা।
মুক্তির পর কাশিমপুর কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে গণমাধ্যমকে খাদিজা বলেন, আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। আমি দোষী না হয়ে প্রায় ১৫ মাস জেলে কাটিয়েছি। এর বেশি এখন বলতে চাই না। বলার মতো মানসিকতাও আমার নেই।
খাদিজাতুল কুবরা আরও বলেন, কারাগারে খুব একটা ভালো ছিলাম না। নামাজ, রোজা এবং পড়াশুনা করে সময় কাটিয়েছি। আজ আমার অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা। এখান থেকে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষা দেব।
খাদিজার বোন সিরাজুম মুনিরা বলেন, “আমরা ভোরে কারাগারে আসি। এরপর সকাল ৯টায় খাদিজাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। খাদিজার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা আজ শুরু, তাই খুব ভোরে আসি।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিন ছিল তার অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা। তাই মুক্তি পাওয়ার ২ ঘণ্টা পর তিনি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
সোমবার বেলা ১১টায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষায় অংশ নেন খাদিজা। সকাল ১০টায় পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও এক ঘণ্টা পর পরীক্ষায় অংশ নেন এই শিক্ষার্থী।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ জানান, রোববার রাতে খাদিজাতুল কুবরার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে আসে। পরে তা যাচাই করা হয়। গভীর রাত হওয়ায় রোববার তাকে ছাড়া হয়নি। পরে সোমবার সকালে তাকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এত ভোরে স্বজনরা না আসায় সকাল ৯টার দিকে খাদিজাতুল কুবরা কারাগার থেকে ছাড়া পান।