সম্প্রতি না নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দুই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও আবুল কাউসার আশাকে আলাদা আলাদ মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে কারা গারে যাওয়ার পূর্বে খোরশেদের বক্তব্য নজর কেড়েছে সবার। সিটিকমিশনারের নির্বচন থেকে সবার নজর এখন খোরশেদের কারাগারে যাওয়ার বিষটির দিকে পড়েছে।
আজ বুধবার (১৫ জুন) দুপুরে নারী ও শিশু নি/ র্যা/ তন দমন ট্রাইব্যুনাল নাজমুল হক শ্যামল খোরশেদ ও জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী মশিয়ার রহমান আশাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নারায়ণগঞ্জ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, তারা আত্মসমর্পণ করে পৃথক মামলায় জামিনের আবেদন করলেও আদালত তা নাকচ করে কারাগারে পাঠায়। ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিপলু জানান, তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগে এক নারী মামলা করেছেন। ওই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তিনি আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নুর বাঁধন, কৌঁসুলি আবুল কাওছার আশা, নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ওই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি। জামিনে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। জেলা ও দায়রা জজ তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার পর খোরশেদ বলেন, এসব মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় বন্দি করে আমাকে রাজপথে আন্দোলন থেকে দূরে রাখা যাবে না। আমি শীঘ্রই আপনার কাছে ফিরে আসব. আবার দেখা হবে হাইওয়েতে। কাউন্সিলর আশা বলেন, এটা একটা ষড়যন্ত্র। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও নাগরিক সেবায় জড়িত রয়েছি। ষড়যন্ত্র করে আমাকে আটকে রাখা যাবে না।
উল্লেখ্য, এছাড়া খোরশেদের বিরুদ্ধে রয়েছে নিজের স্ত্রীকে ধ/ র্ষ / নের অভিযোগ। সাইদা আক্তার বিয়ের পর প্রথম স্বামীর সংসারে তার ৩ সন্তান রয়েছে। তিনি বিবাহিত না হওয়ায় প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে তার সঙ্গে কাউন্সিলর খোরশেদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে গত বছরের ২ আগস্ট বিকেলে সৈয়দা আক্তারের কাঁচপুরের এসএস ফিলিং স্টেশনে এক ব্যক্তিকে নিয়ে যান খোরশেদ। খোরশেদ লোকটিকে কাজী বলে সাইদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। তখন কাজী সাহেব তার রেজিস্ট্রারে সাইদের স্বাক্ষর নিয়ে বললেন, আপনি বিবাহিত। ওইদিন রাত ১১টায় সৈয়দা আক্তারের নিজ বাড়িতে বাসর নামে তাকে কয়েক দফা ধ/ র্ষ/ ণ করে খোরশেদ। তাদের মধ্যে সাইদা আক্তার খোরশেদের কাছে একাধিকবার বিয়ের কাবিননামা চান। তবে সে সেটি তাকে দিতে অস্বিকার করেন।