Friday , November 22 2024
Breaking News
Home / Exclusive / কারাগারে নারী বন্দিরা অন্তঃসত্ত্বা হচ্ছেন কীভাবে? যা বলছেন আদালত

কারাগারে নারী বন্দিরা অন্তঃসত্ত্বা হচ্ছেন কীভাবে? যা বলছেন আদালত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কারাগারে থাকা অবস্থায় নারী বন্দিরা গর্ভবতী হচ্ছেন। তাদের সন্তানরা কারাগারে জন্ম নেয়। সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মেনে রাজ্যগুলিতে কারাগারের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার সময় বিষয়টি ‘অ্যামিকাস কিউরে’ বা আদালত বন্ধু হিসাবে নিযুক্ত আইনজীবী তাপস ভঞ্জ’র।

এরকম আরও ঘটনা সামনে আসতেই আলোড়ন সৃষ্টি হয়। প্রশ্ন উঠেছে, কারাগারের নারী বন্দিরা কীভাবে গর্ভবতী হচ্ছেন। নারী বন্দীরা কি প্রেমে পড়ছে এবং গর্ভবতী হচ্ছে? নাকি তাদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে? এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কলকাতায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব কারাগারেই নারী বন্দিরা গর্ভবতী হচ্ছেন।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলে কমপক্ষে ১৯৬ শিশু তাদের মায়ের সাথে রয়েছে। তাদের পিতৃপরিচয় নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টকে এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছেন ওই আইনজীবী। তিনি বলেন, রাজ্যের সংশোধনাগারগুলির (কারাগার) পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে যে ছবি উঠে এসেছে সেটা উদ্বেগজনক। সংশোধনাগারে থাকাকালীন নারী বন্দিরা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছেন। ১৯৬ জন শিশু মায়ের সঙ্গে সংশোধনাগারে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সংখ্যাটি গত বছরের ১ এপ্রিল পর্যন্ত। এরই মধ্যে সংখ্যা আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কলকাতা হাইকোর্টে এই রিপোর্ট পেশ করার পর, প্রধান বিচারপতি টিএস গান্নাম দ্রুত ব্যবস্থা নেন। ফৌজদারি মামলা হওয়ায় বিষয়টি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচিরের ডিভিশন বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

অনেকে মনে করেন, এভাবে গর্ভবতী হওয়া এবং সন্তান প্রসব করা জেল থেকে বের হওয়ার একটি অভিনব কৌশল।

আদালতের বিচারপতি বলেছেন, আমি দেখতে পাচ্ছি নারী বন্দিরা কারাগারে থাকাকালীন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে আমার পরামর্শ, পুরুষ কর্মীদের সেখানে প্রবেশ নিষেধ করা হোক। নারী বন্দিদের কাছে যেন যেতে না পারে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের জুন মাসে ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আরসি লাহোতি দেশের কারাগারের শোচনীয় অবস্থা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি চিঠি লিখেছিলেন।

সে সময় দেশের কারাগারগুলোতে অতিরিক্ত ভিড়, অস্বাভাবিক মৃত্যুসহ শোচনীয় অবস্থার কথা জানানো হয় সর্বোচ্চ আদালতকে। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আরও উল্লেখ করেন, রাজ্যগুলি বন্দীদের প্রতি তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারে না। ওই চিঠিটি ওই বছরের জুলাইয়ে ‘জনস্বার্থ রিট পিটিশন’ হিসেবে দাখিল করা হয়।

এই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের হাইকোর্টগুলির প্রধান বিচারপতিদের নির্দেশ দেয় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করতে এবং সংশোধনাগারের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। হাই কোর্ট আমাকে নিয়োগ করে সংশোধনাগারের আবাসিকদের অভাব অভিযোগ শোনার জন্য এবং রাজ্যের প্রতিটি জেলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বলবৎ করতে, বলেছেন আইনজীবী তাপস ভঞ্জ।

রাজ্যের কারা মন্ত্রী অখিল গিরিকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি অবশ্য বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং বলেছিলেন যে যদি কোনও নির্দিষ্ট কারাগারের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে তবে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

About Nasimul Islam

Check Also

দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১: পুরুষ শূন্য গ্রাম, আতঙ্কে পালিয়েছেন নারীরাও

মাদারীপুরের শিবচরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে সোমবার দুপুরে হিরু মাতুব্বর নামে একজন নিহত হয়েছেন। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *