দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী সরকার সুপরিকল্পিতভাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বি/ষ প্রয়োগ করেছে।
সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনসমর্থনহীন ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী প্রতিনিয়ত তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার মহাপরিকল্পনায় লিপ্ত রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকার খাদ্যে বি/ষ প্রয়োগ থেকে শুরু করে বিচারের নামে প্রহসনের সাজা এবং গুম-খুন-হ/ত্যাসহ নানা পন্থা অবলম্বন করেছে। এটা নিশ্চিত যে, দেশবাসী মনে করে কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়াকে আওয়ামী সরকার সুপরিকল্পিতভাবে খাবারে বি/ষ মেশানো হয়েছে। আর সেটাই প্রকাশ পাচ্ছে- লন্ডনে শেখ হাসিনার ভাষণ। সেই বক্তৃতায় নিহিত ছিল বিচার ও বিবেচনার ক্ষমতা ছাড়াই প্রতিশোধ নেওয়ার ইঙ্গিত। বেগম জিয়ার উন্নত চিকিৎসায় বাধা তার বড় প্রমাণ।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারের নিষ্ঠুর আচরণে বেগম খালেদা জিয়া জীবন-মরণ টানাপোড়েনে রয়েছেন। বিনা ভোটের প্রধানমন্ত্রীর অকথ্য, রূঢ় ব্যবহারের ফলশ্রুতিতে তিনি চিকিৎসা বঞ্চিত। একজন অসুস্থ মানুষের বেঁচে থাকার মানবাধিকার হরণ করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত বেগম জিয়ার শোচনীয় অবস্থার জন্য এককভাবে দায়ী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী তাকে উন্নত চিকিৎসা ও স্থায়ী জামিনের জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে বিশিষ্ট চিকিৎসক ও আইনজীবীদের মতামতকে উপেক্ষা করছেন, নিছক অজ্ঞতাবশত নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রতিশোধের জন্য। খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্য তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়া।
রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ অবস্থায় কারাগারে প্রবেশ করলেন, তাহলে এত জটিল দুরারোগ্য ব্যাধি পেলেন কেন? বেগম জিয়ার অসুস্থতার তীব্রতা চরম পর্যায়ে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিসে ভুগছেন। কারাগারে যাওয়ার পর লিভারের রোগ (লিভার সিরোসিস) হয়। এই রোগের কারণে, তার পোর্টাল হাইপারটেনশন, জলযুক্ত পেট এবং ফুসফুস, অন্ত্রের রক্তপাত হচ্ছে। মেডিকেল বোর্ড এরই মধ্যে পরামর্শ দিয়েছে, এ দেশে আর চিকিৎসা সম্ভব নয়।
এছাড়াও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে না। তার হার্টের অবস্থারও অবনতি হচ্ছে। ইতিমধ্যে তার হার্টে একটি রিং বসানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি কিডনিজনিত জটিলতায় ভুগছেন। আসলে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সংকটজনক আকার ধারণ করেছে। তাকে বারবার সিসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।