স্থানীয় সংসদ সদস্যের স্বামীর গালিগালাজের কারণে তারা প্রচারণা চালাতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান প্রর্থীরা। তারা প্রশাসনকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অবগতি করেও কোন সুরাহা পাননি বলেও অভিযোগ তুলেছেন। তাই সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশের দাবিতে সিইসি কার্যালয়ের সামনে কাফনের কাপর পরিহিত অবস্থায় অবস্থান নিয়েছেন প্রায় ৪০ জনের মত প্রার্থী। নির্বাচনের পুর্বেই তাদেরকে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে নানান হয়রানি ও হুমকিমুলক কর্মে ( May )র শিকার হয়ে মঙ্গলবার ( Tuesday ) (৩১ মে ( May )) সকাল ১১টার ( 11 o’clock morning ) পর ইসি ভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা।
সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন নোয়াখালীর হাতিয়ার দুই ইউনিয়নের ৪০টিরও বেশি ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীরা। গায়ে কাফন ও হাতে বিষের বোতল নিয়ে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। ইসি ভবনের সামনে তাদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, আগামী ১৫ জুন ( June ) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু তার আগেই হাতিয়ার নবগঠিত হারনী ১ নম্বর ও চানান্দি ( Chanandi ) ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর নির্বাচন প্রার্থীদের ওপর হামলাসহ প্রচারনামুলক সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ফে গেছে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মুসফিকুর রহমান বলেন, প্রাণনাশের হুমকিসহ নানা হুমকির মধ্যেও প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে হচ্ছে। দুই ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মেঘনা নদী এবং রামগতি ও সুবর্ণচর উপজেলার সীমানায় সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেড়েছে। ১নং হারনী ইউনিয়ন ও ২নং চান্দী ইউনিয়নে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রশাসনিক কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। স্থানীয় সংসদ সদস্যদের বাধায় তারা প্রচারণা চালাতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তারা। তারা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি। এ কারণে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, প্রার্থীদের অভিযোগ, নোয়াখালী-৬ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌসের স্বামী প্রার্থীদের ওপর হামলা ও প্রার্থীদের প্রচারণা বন্ধ করে দিয়েছে তার নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে। বর্তমানে প্রার্থীদের সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। হাতিয়া উপজেলার মূল ভূখণ্ডে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের ঘটনায় ভোটাররা শঙ্কিত। তাই নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, র্যাব, বিজিবি, কোস্ট কার্ড থাকা প্রয়োজন বলে দাবি জানিয়েছেন এবং এমনটাই মনে করছেন ভুক্তভোগী প্রার্থীরা।