Monday , December 23 2024
Breaking News
Home / Countrywide / কান্না থামছে না নিহত পুলিশ সদস্য সুমনের স্ত্রী-মেয়ের

কান্না থামছে না নিহত পুলিশ সদস্য সুমনের স্ত্রী-মেয়ের

খুলনায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত পুলিশ কনস্টেবল সুমন কুমার ঘরামির পরিবারের সদস্যদের কান্না থামছে না। তার মাত্র ৬ বছরের মেয়ে স্নিগ্ধা বারবার বাবাকে খুঁজছে আর স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আহাজারি করছেন স্ত্রী মিতু বিশ্বাস।

শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, পুলিশ কর্মকর্তা, আত্মীয়-স্বজন যাকেই পাচ্ছেন তাকে জড়িয়ে ধরে, পায়ে ধরে স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার আকুতি জানাচ্ছেন স্ত্রী মিতু বিশ্বাস। তার কান্না দেখে কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছে না। রাতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক ও খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মইনুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসপাতালে গিয়ে তাদের সান্ত্বনা দেন। কিন্তু মিতুকে কোনো সান্ত্বনা দিয়ে শান্ত করা যায়নি।

জানা যায়, বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার মৃত সুমন ঘরামী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে শহরের বয়রা এলাকায় ভাড়া থাকতেন। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় আন্দোলনকারীদের মারধরে তিনি নিহত হন। সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাস বলেন, সুমন আর আমি একসঙ্গে ছিলাম। সংঘর্ষের একপর্যায়ে আমরা দলছুট হয়ে যায়। প্রাণ বাঁচাতে ইউনিফর্ম খুলে প্রায় ৪ ঘণ্টা ড্রেনের মধ্যে ছিলাম আমি। এর কোনো একসময় আন্দোলনকারীরা কনস্টেবল সুমনকে নৃংশসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। এ বিষয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, আন্দোলনকারীদের হামলায় পুলিশ সদস্য সুমন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আরও কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

About Nasimul Islam

Check Also

অবশেষে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দফতরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *