Monday , December 23 2024
Breaking News
Home / Entertainment / কান্না থামছেই না আকবরের স্ত্রী, শুধু একটা কথাই বলছেন বার বার

কান্না থামছেই না আকবরের স্ত্রী, শুধু একটা কথাই বলছেন বার বার

ইত্যাদি থেকে উঠে আসা শিল্পী আকবর। একটা সময়ে বাংলাদেশে তার নাম ছড়িয়ে পড়েছিল খুব দ্রুতই। তবে স্থায়ী হয়নি বেশিদিন। গতকাল বিকেল ৩টা ০৫ মিনিটে গায়ক আকবর না ফেরার দেশে চলে গেলেন। তিনি কিডনি ও লিভারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। বিষয়টি জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী কানিজ ফাতেমা। একসময় কাঁদতে কাঁদতে চিৎকার শুরু করে সে।

আকবরের মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না স্ত্রী কানিজ ফাতেমা। সে চিৎকার করছিল এবং প্রলাপ করছিল,আর বলছিলো, ‘কি বলতে চেয়েছিল সে,’ ঠোঁট নড়ে উঠল। আমাকে কি যেন বলতে চেয়েছিলে? আমরা কত চেষ্টা করেছি, অথচ বাঁচাতে পারলাম না।’

গত মাসের মাঝামাঝি আকবরকে ‘বেটার লাইফ’ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৫ নভেম্বর দুপুরে তাকে রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে (বারডেম) ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে বিএসএমএমইউতে নেওয়া হয়। ৯ নভেম্বর ভোরে আকবরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই আজ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

আকবর দুই বছর ধরে নানা শারীরিক জটিলতার সঙ্গে লড়াই করছিলেন। দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তার শরীরে পানি জমে ডান পা নষ্ট হয়ে যায়। কিছুদিন আগে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পা কেটে ফেলা হয়। এরপর কিডনি ও লিভারের সমস্যা বেড়ে যায়।

আকবর দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকায় তার চিকিৎসার খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছিল পরিবার। যে কারণে ধার দেওয়ার পাশাপাশি ঘরের আসবাবপত্রও বিক্রি করতে হয়েছে। আকবরের চিকিৎসার জন্য ২২ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া কাছের লোকজনও ব্যক্তিগতভাবে আকবরকে সমর্থন করেছেন।

এ দিকে আকবরের প্রয়ানে দেশের সংগীতাঙ্গনে বিরাজ করছে শোকের ছায়া। সকলেই তার এমন প্রয়ানে বেশ আহত হয়েছেন। বিশেষ করে হানিফ সংকেত তার প্রয়ানে ভেঙে পড়েছেন অনেকটা। এ নিয়ে তিনি দিয়েছেন আবেঘন বার্তাও।

About Rasel Khalifa

Check Also

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিথিলার দাম্পত্যে ভাঙনের সুর

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা এবং পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতনামা পরিচালক সৃজিত মুখার্জির দাম্পত্য জীবনে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *