রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য খন্দকার মোশতাক আহমেদের স্ত্রী সিনথিয়া ইসলাম তিশা অমর একুশে গ্রন্থমেলায় গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সোমবার বিকাল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের গেট দিয়ে বইমেলায় প্রবেশ করেন এই দম্পতি। সেখানে গিয়ে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর একদল লোক ‘ভূয়া ভূয়া’ স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিশা।
তিনি বলেন, ওরা বলছে খন্দকার মোশতাক ও তিশাকে গুলি করে মেরে ফেলতে হবে! তারা কি আমাদের বাঁচতে দেবে না? এমনকি তারা আমাদের বই ছিঁড়ে ফেলেছে। কতটুকু শিক্ষা অর্জন করলে একটা বই ছিঁড়ে ফেলা যায় আমার জানা নেই।’
তিশা আরও বলেন, ‘আমারও ইচ্ছে করে স্টলে স্টলে গিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখতে। আমি অনেক বই পড়ি, সায়েন্স ফিকশন পড়ি। কিন্তু সেই সুযোগটা পাচ্ছি না। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। একজন নারীকে যখন অপদস্থ করা হচ্ছে তখনও কি মানুষের টনক নড়ে না? কেন আমাদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হচ্ছে?’
খন্দকার মোশতাক সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “বইমেলা একটি পবিত্র স্থান। একজন লেখক-পাঠক হিসেবে এখানে আসার অধিকার আমার আছে। যারা এসব করছে তারা পাঠক নয়। তারা মেলায় এসে এমন ঝামেলা সৃষ্টি করেছে। আমি সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দায়ের করেছে।
এর আগে গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিজের বইয়ের প্রচারের জন্য স্ত্রীকে নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলায় যান মোশতাক। একপর্যায়ে পাঠক, ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের রোষের মুখে পড়েন দম্পতি। দুয়োধ্বনি দিয়ে তাদের বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করা হয়।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য খন্দকার মোশতাক আহমেদ একই কলেজের ছাত্রী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন। তারা জানান, ভালোবেসেই তারা একে অপরকে বিয়ে করেছেন। তাদের বিয়ের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।