কিছু এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন একটি মাইক্রবাসযোগে। সেই ভ্রমনের কিছু আনন্দঘন মূহুর্ত কাটানোর পরে সবাই আবার একই মাইক্রোবাসে করে নিজ ঠিকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলনে। তবে তাদের আর বাড়িতে ফেরা হলো না। এক সাথে ১১ জন ঘটনাস্থলে প্রয়াত হয়েছেন।
কেএস নজু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের এসএসসি পরীক্ষার্থী মুছাব আহমেদ হিসাম কানাডায় তার মাকে দেখতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আর হলো না, চলে গেল না ফেরার দেশে। শুক্রবার চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় প্রয়াত ১১ মিনিবাস যাত্রীর একজন হিসাম। হিসাম চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার খন্দকী এলাকার প্রয়াত মোজাফফর আহমদের ছেলে, বজল আহমদের পরিচিত বাড়ি। হিসামের মা কানাডায় থাকার সময় তার মামারা তার দেখাশোনা করতেন। ঘটনার খবর পেয়ে হিসামের মামা ছুটে যান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে।
ডামি চমেক হাসপাতালের মোবাইল ফোনে তিনি জানান, এসএসসি পরীক্ষা শেষে তার কানাডা যাওয়ার কথা ছিল। যাওয়ার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যদি এসএসসি পরীক্ষায এতদিন না ফেছানো হতো তবে সে এখন তার মায়ের সাথে কানাডায় থাকত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিকনদন্ডী ইউনিয়নের ইউপি সভাপতি মো. হাসান জামান বাচ্চু বলেন, মিরসরাই উপজেলার পর্যটন স্পট খৈয়াছড়া ঝর্ণায় যাওয়ার পথে ট্রেনের ধাক্কায় আমার এলাকার ১১ জন প্রয়াত হয়েছেন। দ্রুত চমেক হাসপাতালে ছুটে যাই। তাদের মধ্যে ৫/৬ জনকে আহত অবস্থায় জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উল্লেখ্য, মিরেশ্বরাইয়ে মাইক্রোবাস এবং ট্রেনের সাথে সংঘর্ষ হওয়ায় ভয়াবহ এক দুর্ঘটনা ঘটেছে, যা ফলাফল হিসেবে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন মাইক্রোবাসে থাকা যাত্রী। উক্ত মাইক্রোতে প্রায় ১৭ জনের মত যাত্রী ঘটনার সময়ে অবস্থান করছিলেন। ঘটনা স্থলেই ১১ জন প্রয়াত হয়েছেন আর বাকি সবাইকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তারা এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছন।